Bangla Jago Desk : মথুরাপুরে মারকাটারি লড়াইয়ের জন্য ভোটের ময়দানে নেমেছে সবদলই। তৃণমূল কংগ্রেস জানকবুল করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে নেমেছে। গতবার চৌধুরী মোহমন জাঠুয়া ঘাসফুল ফোটান। এবার তাঁর দলের বাপী হালদার বিগ ফাইটে রয়েছেন। বিজেপির তরফে লড়ছেন অশোক পুরকাইত। কাস্তে-হাতুড়ির প্রতীকে এবার লালব্রিগেডকে জাগাতে নেমেছেন শরত্চন্দ্র হালদার।
মথুরাপুর সংরক্ষিত কেন্দ্রে বড় ফ্যাক্টর নদী ভাঙন।ফি বছর বন্যার কবলে পড়তে হয় নদী-অধ্যুষিত এলাকার মানুষকে। তাই কেউ কেউ বলেন. ‘নদীর ধারে বাস, দুঃখ বারোমাস।’ এই কেন্দ্রের অধিকাংশ এলাকা জল-জঙ্গলে ঘেরা। সাগর ও পাথরপ্রতিমা – এই দুটি বিধানসভা এলাকার বেশিরভাগই নদীনালা বেষ্টিত। এখানে গ্রামাঞ্চলের ভোটারই সিংহভাগ, ৯৪ শতাংশ। শহর এলাকায় মাত্র ৬ শতাংশ ভোটার। সংখ্যালঘু ভোটারের সংখ্যা ২৪.১ শতাংশ।সত্তরের দশকে লালদুর্গ হলেও এখন ঘাসফুল ফুটেছে এই মথুরাপুরে। উনিশে গ্রামপ্রধান এই সংসদীয় এলাকা তৃণমূলের হাতে ছিল।চৌধুরী মোহন জাটুয়ার বদলে তৃণমূলের এবার লড়াইয়ের মুখ বাপি হালদার।বাপির বিরুদ্ধে লড়তে নেমেছেন বিজেপির অশোক পুরকাইত।কোন কোন ইস্যু সামনে এনে লক্ষ্যভেদ করতে চাইছেন তিনি?
একনজরে মথুরাপুর সংরক্ষিত লোকসভা আসন
মথুরাপুর লোকসভায় ৭বিধানসভা
পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ,সাগর, কুলপি
রায়দিঘি, মন্দিরবাজার, মগরাহাট পশ্চিম
মোট ভোটার-১৬,৫১,০৮৭
পুরুষ ভোটার-৮,৫১,৮৯৯
মহিলা ভোটার -৭,৯৯,১৬০
বর্ষা এবং ভরা কোটালের সময় জোয়ারে অস্থায়ী নদীবাঁধ ভেঙে বা উপচে কৃষিজমি, পুকুর, মাটির ঘরবাড়িতে নদীর নোনাজল ঢুকে পড়ে ।তাতে দুঃখ-কষ্টের শিকার হন গ্রামের মানুষজন। স্থায়ী কংক্রিটের নদীবাঁধের দাবিতে বারবার সরব হয়েছেন বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, মৌসুনী, গঙ্গাসাগরের মানুষ।এবার টাফ ফাইটে পরস্পর পরস্পরকে নিশানা করছেন।
একশদিনের কাজ সহ নদী ভাঙনের মতো ইস্যুতে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধরে প্রচারযুদ্ধে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস।কেন বিমাতৃসুলভ আচরণ বাংলার সঙ্গে সোচ্চার প্রতিবাদে ঘাসফুল শিবির ? সিপিএম-বিজেপির হাওয়া তোলার চেষ্টায় জল ঢেলে দিয়ে তৃণমূলের পাল্টা দাবি,বিরোধীশিবির থেকে এখন দল ছাড়ার হিড়িক।ভোটের বাক্সে এই দলবদলের ব্যাপক প্রভাব পড়বে।
ফিরে দেখা যাক,২০১৯-র লোকসভা ভোটের ফলাফল
তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছিলেন ৭,২৬,৮২৮ ভোট
বিজেপি প্রার্থী পান ৫,২২,৮৫৪ভোট
সিপিএম প্রার্থী পান ৯২,৪১৭ ভোট
কংগ্রেসের প্রার্থী পান ৩২,৩২৪ভোট
উনিশের র ভোটচিত্রে বদল আনতে চব্বিশে বিরোধীরা যখন দাঁতে দাঁত চেপে লড়ছে,তখন তৃণমূল কংগ্রেস মার্জিন বাড়ানোর পণ করে ভোটযুদ্ধে সামিল।জনতার মার্কসিটে কোন পক্ষ কত মার্কস পায় সেটাই দেখার।