Bangla Jago Desk : ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ শে বৈশাখ কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্ম। আজ তাঁর ১৬৩তম জন্মদিন। দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে রবীন্দ্র জয়ন্তী। সকাল থেকে সব জায়গায় নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হচ্ছে তাঁর জন্মদিন। বছরের ৩৬৫ দিন তিনি আমাদের মননে থাকলেও এই দিনটি একটু আলাদা বাঙালির কাছে। কারণ ২৫শে বৈশাখ বাঙালি ভেসে যায় প্রবাহমান রবীন্দ্র স্রোতে।
আজ তাঁর জন্মদিন। তবে দিনটি নিছকই একজন্য ব্যক্তি মানুষের জন্মদিন নয়। তিনি আজও এতটা প্রাসঙ্গিক যে, তাঁর জন্মদিন আপামর বাঙালির কাছে উৎসবের হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ ২৫শে বৈশাখ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ শে বৈশাখ কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মাতা সারদা দেবীর কোল আলো করে এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আজ বুধবার তাঁর ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী। দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে রবীন্দ্র জয়ন্তী। সকাল থেকে সব জায়গায় নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হচ্ছে জন্মদিন। বছরের ৩৬৫ দিন তিনি আমাদের মননে থাকলেও এই দিনটি একটু আলাদা বাঙালির কাছে। প্রভাতফেরি, রবীন্দ্রগানে মেতে ওঠে সবাই। আপামর বাঙালি অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যদর্শন যুগ যুগ ধরে মানুষকে ছুঁয়ে গিয়েছে মানুষকে। যার রেশ চিরকালীন। বাঙালি সুখে-দুঃখে, উৎসবে সবেতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আছেন। মন খারাপ হলে গেয়ে ওঠে তাঁর গান। খুশিতেও আছে তাঁর গান। বাঙালির কাছে তিনি আজও মহীরুহ হয়ে আছেন। তবে শুধু বাঙালি নয়, গোটা দেশবাসীকে তিনি আজও মুগ্ধ করে চলেছেন তাঁর লেখনি, গান, কবিতা, দর্শনে। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও তাঁর গুরুত্ব অপরিসীম। মাঝখানে বেড়া থাকলেও শুধুমাত্র রবীন্দ্রনাথের জন্য দুই বাংলার বাঙালি এক হয়ে যায়। সংস্কৃতিমনস্ক মানুষকে তাঁর সৃষ্টি দিয়ে তিনি আত্মার টানে বেঁধে রেখেছেন। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী রবীন্দ্রনাথ ছিলেন একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, সঙ্গীত রচয়িতা-সুরকার, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক।
তাঁর সাহিত্যকর্মের ভিত্তিতে রবীন্দ্রনাথের সত্ত্বা প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা। তিনি বিশ্বকে দিয়েছেন, তিনি ভারতবর্ষকে দিয়েছেন, আবার তিনি বাঙালির জন্য দিয়েছেন অনেককিছু। তিনি বাঙালি হলেও এই ভাবে তিনি হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বজনীন। বাঙালি সমাজ রবীন্দ্রনাথের প্রভাবে এতটা আচ্ছন্ন হয়ে আছে যে, আজ এত বছর পরও তিনি সমান প্রাসঙ্গিক। কালের নিয়মে সবকিছু পুরনো হয়। কিন্তু, বাঙালির কাছে রবীন্দ্রনাথ যা ছিলেন, তাই আছেন। আগামীতেও তাই থাকবেন। বাঙালি তাঁর মননে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখবে রবীন্দ্রনাথকে। রবীন্দ্রনাথ নির্দিষ্ট একটা সন্ধিক্ষণ নয়, রবীন্দ্রনাথ প্রবাহমান এক স্রোত। যা চিরন্তন। আর প্রতিবছর ২৫ শে বৈশাখে সেই স্রোতে ভেসে যায় বাঙালি।