ad
ad

Breaking News

Poila Boishakh

দেশে তখন চলছে সম্রাজ্য, বিস্তারের প্রতিযোগিতা শুরু হলো বঙ্গাব্দ গণনা , জানেন সেই ইতিহাস

উৎসবপ্রিয় বাঙালির পার্বণ সংখ্যা আজ আর ১২ তে আটকে নেই। তা আজ দ্বিগুণ হয়েছে

The country was under an empire, the competition for expansion began, and the Bangabd count, you know that history

Bangla Jago Desk,Mou Basu : উৎসবপ্রিয় বাঙালির পার্বণ সংখ্যা আজ আর ১২ তে আটকে নেই। তা আজ দ্বিগুণ হয়েছে। নিউ ইয়ার, ক্রিস্টমাস ইভ থেকে শুরু করে ভ্যালেন্টাইন্স ডে, পাশ্চাত্যের নানা উৎসব আজ আমাদের উৎসবের ক্যালেন্ডারে জায়গা করে নিয়েছে। পাশাপাশি আজ বাঙালি নববর্ষ পালনও এক বিরাট উৎসবে পরিণত হয়েছে। কিন্তু বাঙালির নববর্ষ পালন কি চিরকালই এমন ছিল? একটু পাতা উল্টে দেখে নেওয়া যাক না পুরনো দিনগুলো।

বছরের প্রথম দিন কেমন ভাবে পালন করা হত আগে? আমাদের দেশে সর্বত্র একসঙ্গে নববর্ষ পালন হত না। দেশের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন সময় নববর্ষ পালন হত। উত্তর ভারতে বিক্রমসংবর্ত চৈত্র শুক্লা প্রতিপদে শুরু হত। শুক্লা প্রতিপদে শুরু হত শকাব্দের চান্দ্র বর্ষ। সৌর বর্ষ শুরু হত কৃষ্ণা প্রতিপদে। দক্ষিণ ভারতে বৃহস্পত্য বর্ষের প্রচলন আছে। কেরালায় ভাদ্র মাসের কৃষ্ণা নবমী তিথিতে শুরু হয় কোন্নাম বর্ষ। সত্যযুগে অক্ষয় তৃতীয়া তিথি থেকে শুরু হত নববর্ষ। ত্রেতাযুগে কার্তিকের শুক্লা নবমীতে, দ্বাপরযুগে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে শুরু হত নববর্ষ। বঙ্গাব্দের শুরু থেকে আমরা পয়লা বৈশাখেই কেন নববর্ষ পালন করা শুরু করি? এর জন্য কিছুটা অতীতে যেতে হবে। সেই মোগল আমলে।

মোগল সম্রাট আকবর ছিলেন প্রজাবত্সল ও দূরদর্শী। রাজস্ব সংগ্রহের সুবিধার জন্য তিনি হিজরি সন অনুযায়ী ‘তারিখ ইলাহি’ নামে একটি নতুন বর্ষক্রম চালু করেন। কিন্তু বাংলায় তা পুরোটা মানা হত না। আকবর যখন এই নতুন বর্ষক্রম সংস্কার করেন তখন হিজরি সনের ৯৬৩ বছর পার হয়ে গেছে। বাঙালিরা আকবরের এই হিজরি সনের সংখ্যাটা মেনে নিলেও সেই সনের গোড়া থেকে বর্ষ গণনা শুরু করল না। তারা এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি অর্থাৎ বৈশাখের প্রথম থেকে বঙ্গাব্দ গণনা শুরু করল। অবশ্য এর অন্য আর এক তাত্পর্যও আছে। তা হল আকবর তাঁর ভূমিসংস্কার ব্যবস্থাকে সর্বজনগ্রাহ্য করার জন্য সময়ের একটু বদল এনেছিলেন। খাজনা সংগ্রহের জন্য চৈত্র মাস হল শেষ মাস। অগ্রহায়নে ফসল ঘরে তোলার পর আরো ৪টে মাস হাতে থাকত কৃষকদের। তারা যথেষ্ট সময় পেত খাজনা পরিশোধ করার। সেই রীতিটি এখনো বহাল আছে। গ্রামীণ মানুষদের আর্থিক সচ্ছলতার কথা ভেবেই এই ব্যবস্থা। এছাড়া বঙ্গাব্দ মূলত গ্রামীণ মানুষের কাছে ব্যবহারিক। তাই বঙ্গাব্দের প্রথম দিনটি তাদের কাছে মূল্যবান। তবে এখানে আরও একটা কথা প্রযোজ্য-বঙ্গাব্দের নববর্ষ পালনের তেমন কোনো ধর্মীয় ব্যাখ্যা নেই। পঞ্জিকাতে নেই কোনো নববর্ষকৃত্য। আমরাই আনন্দে ভরিয়ে তুলতে হালখাতা, মহরতের মতো নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করি।