Bangla Jago Desk, Mou Basu :“নামে কালী রূপে কালী কালো হতেও অধিক কালো,ও রূপ যে দেখেছে সেই মজেছে অন্যরূপ লাগে না ভালো।।”বাংলার মাটি শক্তিপীঠ। জগতের সৃষ্টি, স্থিতি সংহারকারিণী মহীয়সী মহাবিদ্যা মা কালী যুগ যুগ ধরে পরম শ্রদ্ধা, আন্তরিকতা ও গভীর ভক্তিতে এই বঙ্গভূমে নিত্য পূজিতা হচ্ছেন। সারা বাংলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য কালী মন্দির। এরমধ্যে অন্যতম হল হাওড়ার শিবপুরের হাজার হাত কালী মন্দির।
একসময় হাওড়ার শিবপুর অঞ্চল ছিল ঘন জঙ্গলে ঢাকা। জঙ্গলে তন্ত্র সাধনা করতেন আশুতোষ তন্ত্ররত্ন নামে ১ তন্ত্র সাধক। স্বপ্নে দেবীর দেখা পেয়ে শিবপুরে ১৯১৪ সালে হাজার হাত কালী মূর্তি স্থাপন করেন। বৈশাখী পূর্ণিমার দিন প্রতিষ্ঠা হয় দেবীমূর্তির।প্রচলিত কালী মূর্তির সঙ্গে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে এই কালী মূর্তির। মার্কণ্ডেয় পুরাণ অনুসারে দেবী এখানে ১ হাজার হাত নিয়ে বিরাজমান। মায়ের পায়ের তলায় মহাদেব নেই, বাঁ পাটি সিংহের পিঠে। লাজে রাঙা হয়ে লাল টুকটুকে জিভ বের করা নয়। প্রসন্ন উজ্জ্বল হাসিমাখা মুখ। প্রত্যেক বছর বৈশাখী পূর্ণিমার দিন সাড়ম্বরে মায়ের উত্সব ও পুজো হয়।
সুবিশাল মনমোহিনী মূর্তি। বিগ্রহ তৈরি হয়েছে মার্কণ্ডেয় পুরাণের মধ্যম চরিত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের শ্লোক অনুসারে। বিশাল দেবী মূর্তির রূপদান করেন কুমারটুলির প্রিয়নাথ পাল। মহিষাসুরকে বধের সময় দেবীর পদতলে শিব ছিলেন না। তখন মায়ের সহস্র হাত। সংহারকারিণী মূর্তি। রক্তবীজ বধের সময় মায়ের পদতলে শিবের অধিষ্ঠান দেখা যায়। তাই এই দেবী মূর্তি মহিষাসুর বধের সময়কার, রক্তবীজ বধের সময়ের নয়। তাই শিববিহীন।