ad
ad

Breaking News

Panjika

পঞ্জিকা শুধু তিথিনক্ষত্র, দিনক্ষণই জানায় না তা এক কালোত্তীর্ণ সাহিত্যও

বঙ্গজীবন আর পাঁজি বা পঞ্জিকা হল সমর্থক। দিনক্ষণ, তিথিনক্ষত্র, রাশিফল, সবকিছুর খবর আমরা পাই পঞ্জিকা থেকেই।

Panjika not only tells Tithinakshatra, days, it is also a black literature

Bangla Jago Desk , Mou Basu : বঙ্গজীবন আর পাঁজি বা পঞ্জিকা হল সমর্থক। দিনক্ষণ, তিথিনক্ষত্র, রাশিফল, সবকিছুর খবর আমরা পাই পঞ্জিকা থেকেই। তাই পাঁজির কদরই আলাদা। সম্মান অনেক। সেজন্য নতুন বছরের শুরুর আগে থাকতেই দোকানে, ফুটপাতে, ট্রেনের কামরায় পাঁজি বিক্রি হতে দেখা যায়। পাঁজির চাহিদা প্রচুর। হট কেকের মতো বিক্রি হয়।

পাঁজি হল এমন এক বিচিত্র তথ্য দেয় যা আমাদের মজার মজার নানা তথ্য দেয়। প্রথমে ২ খণ্ডে পাঁজি বের করেছিলেন কিশোরীমোহন বাগচী। এক খণ্ডে পঞ্জিকা আর অন্য খণ্ডে ডাইরেক্টরি ছিল। এই বাগচীমশাই ১৮৯৯ সালে যে পঞ্জিকা বের করেছিলেন তাতে লর্ড ও লেডি কার্জনের ছবি দেবদেবীর ছবি ছেপেছিলেন। ১৯ শতকের গোড়া থেকে বাজারে পাঁজি প্রকাশ নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। টিকে থাকতে অনেকে ম্যাজিক, সম্মোহনী বিদ্যা, গুপ্ত রোগের ওষুধের তথ্যও দিতে শুরু করেন।

কেউ আবার ব্রিটিশ রাজের আনুকুল্য পাওয়ার জন্য পাঁজির নাম ভিক্টোরিয়া পঞ্জিকা, লর্ড রিপন পঞ্জিকা রেখেছিলেন। পরে পাঁজির ব্যবসাকে ঝাঁ চকচকে করতে প্রকাশকরা আরও বেশি সচেষ্ট হন। বিভিন্ন শিল্পকলাকেও উজ্জীবিত করে পাঁজি। কার্টুনের বিজ্ঞাপন ছাপা হয়েছিল পাঁজিতে। পাঁজি হল এক কালোত্তীর্ণ সাহিত্য যা ঐতিহ্যের ধারক ও বাহকও বটে কারণ শিল্প, বাণিজ্য, সংস্কৃতি, ধর্মের মেলবন্ধন ঘটে পাঁজিতেই।