Bangla Jago Desk, পার্থসারথি গুহ : কথায় বলে গ্রহের ফের। গ্রহের এই ফেরে কারো ভাগ্য কী সত্যি ফেরে? নাকি যার ৯ য়ে হয় না, তার নব্বইতেও হবে না। কোনটা ঠিক? এতসব কিছু ভাবতে গেলে যে বিষয়টির কথা সর্বপ্রথম মাথায় আসে তাহল জ্যোতিষ শাস্ত্র। যুগের পর যুগ ধরে শাশ্বত এই শাস্ত্রের প্রতি সাধারণ মানুষের অদম্য আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। এবার কথা হল জ্যোতিষ সম্পর্কে সামান্য একটু জ্ঞান যদি অর্জন করা যায় তাহলে জীবনে চলার পথে কিছুটা উপকার কী হয়?
এমনিতে রাস্তাঘাটে বেরলে একটা জিনিস বেশ দেখা যায় যে গড়পড়তা বেশিরভাগ মানুষের দুহাতের আঙুলে নানারকম পাথর শোভা পাচ্ছে। এমনিতে মুক্তো,পলা খুব কমন হলেও আজকাল অনেকেই দুমদাম করে (হয়তো কারো পরামর্শে) নীলা, পোখরাজ, চুনী, গোমেদ, ক্যাটস আই-ও টপাটপ পড়ে নিচ্ছে।
এখন দেখার যে পাথর আমরা পরছি তা আদৌ কী সমস্যার সমাধান করতে পারছে। নাকি উত্তরোত্তর গোলযোগ আরও বেড়েই যাচ্ছে? এক্ষেত্রে মনে হয় জ্যোতিষ শাস্ত্র নিয়ে যদি আমরা একটু আধটু জ্ঞান অর্জন করতে পারি তবে অনেকটাই উপকার হবে নি:সন্দেহে।
ছোট করে জ্যোতিষ শিক্ষায় হাতেখড়ি করাই যাক বরং। জ্যোতিষ কথাটা মাথায় এলেই অবশ্যই আলোচনা করতে হবে মহাকাশে বিদ্যমান নবগ্রহ নিয়ে। রবি, চন্দ্র, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র, শনি এবং দুটি ছায়া গ্রহ রাহু ও কেতু নিয়ে এও এক নবরত্নের সমাহার বলা চলে। প্রথমেই যেটা দেখতে হয় তাহল, এই ৯ টি গ্রহ কীভাবে আমাদের জীবনে কী প্রভাব ফেলছে? প্রায়শই,আমরা একটা বলে থাকি যে অমুকের অত কিছু হচ্ছে। আমরা কেন পারছি না? তাহলে কী অমুকে রাজার ভাগ্য নিয়ে জন্মেছে। আর আমরা প্রজার ভাগ্য নিয়ে গড়াগড়ি খাচ্ছি।
এক্ষেত্রে বলা প্রয়োজন নিশ্চিতভাবে অমুকের গ্রহ সঞ্চালন ভালো আছে। তা বলে আমাদেরও গ্রহ ভাগ্য একেবারে পক্ষে নেই তা ধরে নেওয়াটাও মূর্খামি। মনে রাখতে হবে কোনও এক গ্রহ অনেকসময় পজিটিভ থেকে হাজারো আপদ বিপদ থেকে আমাদের রক্ষ করে। আবার কারো ক্ষেত্রে অনেক গ্রহের আনুকূল্য পেয়েও এক-দুটো গ্রহের রোষ তাকে পর্যুদস্ত করে দিচ্ছে। এজন্য প্রত্যেকের উচিত সময় থাকতে নিজের জন্মছকের প্রকৃত বিশ্লেষণ করা। প্রয়োজনে নিজে হাতেকলমে শেখাও যেতে পারে। জ্যোতিষ সমুদ্রশাস্ত্র। সম্পূর্ণ ভাবে একে জানা হয়তো সম্ভব নয়। তাও নিজেদের জীবনটা ঠিকঠাক যাতে এগোয় সেজন্য একটা প্রচেষ্টা করা যেতেই পারে!!!