ad
ad

Breaking News

lie

আপনি কি মিথ্যা কথা বলেন, আপনার চালচলনে ফুটে উঠতে পারে আপনার মিথ্যুক

শরীরের ভাবভঙ্গি বা চালচলনের মাধ্যমে ফুটে ওঠে মনের অনুভূতি। মানুষের অজান্তেই আদিকাল থেকেই চলে আসছে শরীরের ভাষা বা বডি ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে চর্চা।

If you lie, your actions may reveal your lies

Bangla Jago Desk , Mou Basu : শরীরের ভাবভঙ্গি বা চালচলনের মাধ্যমে ফুটে ওঠে মনের অনুভূতি। মানুষের অজান্তেই আদিকাল থেকেই চলে আসছে শরীরের ভাষা বা বডি ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে চর্চা। মানুষের ও পশুর অনুভূতির প্রকাশ নিয়ে প্রথম বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গবেষণা করেন চার্লস ডারউইন। ১৮৭২ সালে তাঁর সুদীর্ঘ গবেষণার ফসল ‘The Expressions of Emotions in Man & Animals’ প্রকাশিত হয়। ডারউইন এই বইয়ে বিস্তারিত ভাবে শরীরের মাধ্যমে ভাবের প্রকাশ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

শরীরের ভাবভঙ্গি দেখে কীভাবে চিনবেন উল্টো দিকের মানুষটি আপনাকে ঠকাচ্ছেন কিনা-

১) স্বাভাবিক বডি ল্যাঙ্গুয়েজ থেকে সরে আসছে কিনা সেটা জানা জরুরি। প্রতিটি মানুষের নিজস্ব ভাবভঙ্গি বা চালচলন বা বডি ল্যাঙ্গুয়েজ থাকে। এটাকে বলে বেসলাইনিং। কেউ মিথ্যে কথা বলছে কিনা সেটা বিচার করতে গেলে আগে ভাবভঙ্গিকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।





২) কেউ ঠকাচ্ছে কিনা তা বুঝতে হলে আগে দেখতে হবে সে ডানহাতি না বাঁহাতি। যদি দেখেন আপনার উল্টো দিকের মানুষটি যদি কোনো কিছু কথা বলার সময় হাত পা নেড়ে বলতে গিয়ে উল্টো হাত ব্যবহার করে তাহলে বুঝবেন সেই ব্যক্তি আপনাকে মিথ্যে বলছে।

৩) আপনি যখন কথা বলবেন লক্ষ্য রাখবেন উল্টো দিকের ব্যক্তি চোখের নড়াচড়ার ওপর। যদি দেখেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কথা বলার সময় আপনার দিক থেকে চোখ সরিয়ে নিচ্ছেন, সরাসরি তাকাচ্ছেন না, তাহলে বুঝবেন তিনি মিথ্যে বলছেন। কথা বলার সময় বারবার বাঁদিকে তাকালে বুঝবেন তিনি বানিয়ে বানিয়ে কথা বলছেন।

৪) কেউ মিথ্যে বললে দেখবেন সেই ব্যক্তি এক জায়গায় বসে বা দাঁড়িয়ে থাকছেন না। খালি দুলছেন, এদিকওদিক হেলছেন দুলছেন। এক জায়গায় স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে বা বসে নেই। মাথাও এদিক ওদিক ঘোরাচ্ছেন।

৫) যখন কেউ আপনার দিকে কথা বলছেন তখন লক্ষ্য করবেন মুখে তার হাসি আছে কিনা। কৃত্রিম হাসির অবস্থান শুধু ঠোঁটে। শুধু গাল দু’টো অল্প ফুলে ওঠে। আসল হাসিতে চোখের চারপাশের পেশিও এতটাই সঙ্কুচিত হয় যে চোখ দু’টিও সরু হয়ে যায়। ২০১২ সালে ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য।

৬) স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চোখ পিটপিট করছে। আপনার সঙ্গে কথা বলার সময় যদি কারোকে দেখেন বেশি চোখ পিটপিট করছে যা তার স্বাভাবিক ভাবভঙ্গি নয় তা’হলে বুঝবেন সেই ব্যক্তি আপনার সঙ্গে বানিয়ে কথা বলছেন।

৭) আপনার সঙ্গে কথা বলার সময় যদি কারোকে দেখেন একটু পালাই পালাই ভাব, দরজার দিকে পা বাড়িয়ে আছেন, তার মানে তিনি শারীরিক ও মানসিক ভাবে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে চাইছেন।
৮) আমরা যখন খুব দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ি না মিথ্যে বানিয়ে বানিয়ে কথা বলি আমাদের নাকের মধ্যে থাকা ক্যাপিলারি অল্প ফুলে ওঠে। বারবার নাক ঘষি। ছোটো বাচ্চারা মিথ্যে কথা বললে তারা মুখের সামনে একটা বা দু’টি হাতই চাপা দেয়। অনেক সময় পেছনেও হাত রাখে। বড়োরা মিথ্যে বললে নাকের নীচে ঘষে বা ঠোঁট বা নাকে আলতো ভাবে আঙুল ছোঁয়ে।

৯) প্যান্টের পকেটে অনেকে হাত ঢুকিয়ে কথা বলেন, তার মানে তিনি মনের প্রকৃত ভাব প্রকাশ করতে চাইছেন না। আপনার কথা বলার সময় যদি কেউ ঘাড় একদিকে কাত করে রাখেন বুঝতে হবে তিনি আপনার কথা মন দিয়ে শুনছেন। অনেকে হয়ত আপনার কথা বলার সময় মুখে অত্যন্ত মনোযোগ দেওয়ার ভাব করছেন অথচ পা নাচাচ্ছেন। বুঝতে হবে তিনি আদৌ কথা শুনতে আগ্রহী নন।

১০) অনেকে মিথ্যা কথা বলার সময় হাতটা মুখের কাছে গোল করে নিয়ে আসেন। ভাবটা যেন কাশি ঢাকার চেষ্টা। আসলে মিথ্যে কথা বলাকে বাধা দিতে চাইছেন।

১১) অনেকে কথা বলার সময় চোখ ঘষেন। কেউ চোখের তলায় ঘষে নেন। তাড়াতাড়ি নয় থেমে থেমে কথা বলেন, ঘামতে থাকেন। গলা শুকিয়ে যায়, কথা বলার সময় তোতলাতে থাকে। বারবার অনর্থক একই অপ্রয়োজনীয় কথা বলতে থাকেন। এর মানে একই, তিনি মিথ্যে বলছেন।