Bangla Jago Desk : রাজনৈতিক দিক থেকে দক্ষিণ ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ। যেখানে দেশের অন্যতম দুটি বড় দল বিজেপি ও কংগ্রেসের অবস্থা বলার মতো নয়। একসময় তেলুগু দেশম পার্টির শাসনে থাকা রাজ্যে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস। এই রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র বিশাখাপত্তনম। জমাটি লড়াই হতে চলেছে এই কেন্দ্রে।
অন্ধ্রপ্রদেশ ১৯৫৬ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ পৃথক রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। এখন রাজ্যটি তেলুগু ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রি ও আইটি শিল্পের জন্য গোটা দেশের কাছে আলাদা সম্মান পায়। এই রাজ্যের রাজনৈতিক ইতিহাস আকর্ষণীয়। একটা সময় দীর্ঘদিন রাজ্যটির শাসন ক্ষমতায় ছিল তেলুগু দেশম পার্টি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চন্দ্রবাবু নাইডু সেই সময় রাজ্যটিকে সিলিকন ভ্যালিতে রূপান্তর করেছিলেন। এখন সেই দিন অতীত। বহুদিন হল ক্ষমতায় নেই চন্দ্রবাবু নাইডু। রাজ্যটিতে এখন ক্ষমতায় আছে ওয়াওএসআর পার্টি। মুখমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি। এই রাজ্যে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর দল তেলুগু দেশম পার্টি এবং তেলুগু অভিনেতা-রাজনীতিক পবন কল্যাণের জনসেনা পার্টির সঙ্গে জোট চূড়ান্ত করেছে বিজেপি। আসন্ন লোকসভা এবং অন্ধ্র বিধানসভা নির্বাচনে তিন দল আসন সমঝোতা কবে লড়বে। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে জোটে ছিলেন চন্দ্রবাবু। কিন্তু অন্ধ্রের বিশেষ মর্যাদার দাবিতে ২০১৮ সালে এনডিএ ছেড়েছিল টিডিপি। ২০১৯-এর লোকসভা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা ভোটে তারা একাই লড়াই করেছিল। সেই ভোটে জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেসের কাছে হেরে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি হারিয়েছিলেন চন্দ্রবাবু। এখন আবার এনডিএ-তে ফিরেছেন তিনি।
গুরুত্বের নিরিখে বিশাখাপত্তনম এই রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ একটি কেন্দ্র। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ওয়াইএসআর কংগ্রেসের এমভিভি সত্যনারায়ণ বিশাখাপত্তনম কেন্দ্রে জিতেছিলেন। তিনি টিডিপি-র ভারত মাথুকুমিলি-কে হারিয়ে জিতেছিলেন। ২০১৪ সালে এই কেন্দ্রে জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থী কম্ভমপতি হরিবাবু। ২০১৯ সালে একা লড়ে অন্ধ্রে লোকসভার তিনটি আসনে জিতেছিল টিডিপি। বাকি ২২টি পেয়েছিল জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস। তবে আসনের ব্যবধান অনেকটাই বেশি থাকলেও ভোট শতাংশের ব্যবধান খুব বেশি নয় শাসক ও বিরোধীর মধ্যে। ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সঙ্গে টিডিপির মাত্র পাঁচ শতাংশের ব্যবধান। এই বিশাখাপত্তনমেও ওয়াইএসআর কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গে টিডিপি-র প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান মাত্র এক শতাংশ। ফলে এবার লড়াই জমে উঠতে চলেছে এই কেন্দ্রে।