ad
ad

Breaking News

Rabindranath Tagore named route in foreign

বিদেশের এক রাজধানী শহরে রয়েছে রবীন্দ্রনাথের ওপর নামাঙ্কিত রাজপথ, কোথায় জানেন

এশিয়ার প্রথম নোবেলজয়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সম্মান জানাতে তাই তেল আভিভে তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্টো দিকের রাস্তার নামকরণ করা হয় রবীন্দ্রনাথের নামে।

Bangla Jago Desk, মৌ বসু: কল্লোলিনী তিলোত্তমায় লেনিন সরণী, হো চি মিন সরণীর মতো রাস্তা রয়েছে। তেমনই জানেন কি সুদূর ইজরায়েলের রাজধানী তেল আভিভেও দু’দুটি রাজপথ রয়েছে যার নাম বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে।

১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ এই বীরভোগ্যা বসুন্ধরায় উদয় হয়েছিল এমন এক ব্যতিক্রমী রবি কিরণ। সেই কিরণের ছটা বাংলা ও বাঙালি সমাজ ও সংস্কৃতি, মনন, চিন্তায় ভাবনায় নতুন যুগের আঙিনায় পৌঁছে গেছে। নিজের সময়ের চেয়ে বহু গুণ এগিয়ে ছিল তাঁর চিন্তাভাবনা। তাই তো তাঁর অমরসৃষ্টি আজও মানব সমাজে একই ভাবে প্রাসঙ্গিক।

এশিয়ার প্রথম নোবেলজয়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সম্মান জানাতে তাই তেল আভিভে তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্টো দিকের রাস্তার নামকরণ করা হয় রবীন্দ্রনাথের নামে। রবীন্দ্রনাথের ১৫৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাস্তাটির নামকরণ করা হয়েছে টেগোর স্ট্রিট। এর আগেও ইজরায়েলের আরও একটি রাস্তার নামকরণ করা হয় রবীন্দ্রনাথের নামে। ১৯৬১ সালে কবির জন্মের শতবর্ষ উপলক্ষে ইজরায়েলের রাস্তার নামকরণ করা হয় তাঁর নামে। তেল আভিভ পুরসভা সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।





আসলে ইহুদি ও ইজরায়েলের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের গভীর হৃদ্যতার আত্মিক সম্পর্ক ছিল। বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন আদর করে কবিকে ডাকতেন ‘রাব্বি টেগোর’। এছাড়াও স্যর উইলিয়াম রথেনস্টাইন, আলেক্স আরনসন, মোরিজ উইন্টারনিৎজ, সিলভেইন লেভি, স্টেলা ক্রামরিখের মতো বহু বিখ্যাত ইহুদির সঙ্গে বিশেষ হৃদ্যতার সম্পর্ক ছিল বিশ্বকবির। একাধিক বার আইনস্টাইনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় কবির।
স্যর উইলিয়াম রথেনস্টেইন মনে করতেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজের সময়ের চেয়ে বহু গুণ এগিয়ে। স্যর উইলিয়াম রথেনস্টাইনের উদ্দেশ্যেই গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গ করেন রবীন্দ্রনাথ। রথেনস্টাইনই বিখ্যাত আমেরিকান কবি এজরা পাউন্ডের সঙ্গে কবির বই পড়া বা বুক রিডিংয়ের বন্দোবস্ত করেন। এমনকি, বিখ্যাত আইরিশ কবি উইলিয়াম বাটলার ইয়েটসকে গীতাঞ্জলির ইংরেজি অনুবাদের মুখবন্ধ লিখে দিতে অনুরোধ করেন।

ইহুদি শিল্পী স্টেলা ক্রামারিখকে রবীন্দ্রনাথ কলা ভবনে শিক্ষিকা হিসাবে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ১৯২০-২১ সালে প্যারিস ভ্রমণের সময় কবির সঙ্গে দেখা হয় প্রাচ্য বিশারদ সিলভেইন লেভির। কবি তাঁকে বিশ্বভারতীর ভিজিটিং অধ্যাপক হিসাবে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কবির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সিলভেইন লেভি ১৯২১-২২ সালে টানা এক বছর বিশ্বভারতীর ভিজিটিং অধ্যাপক হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন। তিনিই বিশ্বভারতীর প্রথম ভিজিটিং অধ্যাপক। ফরাসি, চিনা ও তিব্বতি ভাষা শেখাতেন।