Bangla Jago Desk: দুবছর আগে থাইল্যান্ডে গাঁজার বিনোদনমূলক ব্যবহার বৈধ ঘোষণা করা হয়। এবার সেই গাঁজাকেই এবার মাদকদ্রব্যের তালিকাভুক্ত করার পদক্ষেপ নিচ্ছে থাইল্যান্ড। বিষয়টিকে অত্তন্ত আশ্চর্যজনক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ২০১৮ সালে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য ও ২০২২ সালে তৎকালীন সরকার বিনোদনের জন্য গাজা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল। এই পদক্ষেপের ফলে দেশটিতে গাঁজা পণ্য বিক্রি করা ছোট ব্যবসার দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে, যার সংখ্যা এখন কয়েক হাজার। সমালোচকদের অভিযোগ, গাঁজা সেবন ও বিক্রির নীতিগুলি এলোমেলোভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল। কীভাবে এটি বিক্রি ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে সম্পর্কে ব্যাপক বিভ্রান্তি থেকে গিয়েছে।
থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ বলেছেন, ‘তিনি চান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়মগুলো সংশোধন করা হকো ও গাঁজাকে মাদক হিসেবে পুনরায় তালিকাভুক্ত করা হোক। শুধু স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গাঁজার ব্যবহার বৈধ করে নিয়ম জারি করা করুক মন্ত্রণালয়। ২০২৩ এ দেশটির ক্ষমতায় আসেন থাভিসিন। এরপর থেকেই তিনি গাঁজার বিনোদনমূলক ব্যবহারের বৈধতা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। তার মতে, এটি থাইল্যান্ডে বিদ্যমান মাদকের অপব্যবহার সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
গত দুই বছরে থাইল্যান্ডে গাঁজা জাতীয় পণ্য বিক্রি করা ছোট ব্যবসার দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে। এ জাতীয় ব্যবসার সংখ্যা এখন কয়েক হাজারে পৌঁছেছে। তবে দেশটিতে গাঁজা নিয়ে এমন নিয়মকে মন্ত্রীদের স্বেচ্ছাচারিতা বলেও সমালোচনা করেছেন অনেকে। কেননা প্রতিবারই নতুন সরকার এসে দেশটিতে গাঁজার ব্যবহারের ওপর নিজেদের মতো নিয়ম চালু করেন। এর ফলে বিভ্রান্তিও সৃষ্টি হয়। থাইল্যান্ড সরকার এমন প্রবিধান প্রবর্তন করেছে যা গাঁজাকে একটি “নিয়ন্ত্রিত ভেষজ” করে তুলবে যার জন্য গাঁজার চাষ বা বিক্রির জন্য লাইসেন্সের প্রয়োজন, সেইসঙ্গে অনলাইন বিক্রয়, গর্ভবতী মহিলা ও ২০ বছরের কম বয়সী ব্যক্তিদের বিক্রি পাশাপাশি জনসাধারণের ধূমপান নিষিদ্ধ করা।