ad
ad

Breaking News

Brain Tumour

OMG: অবাককাণ্ড ! ৩০বার ভুল চিকিৎসার শিকার ব্রিটেনের একটি মেয়ে, অবশেষে ব্রেন টিউমার অপারেশনের পর মিলল স্বস্তি

১১বছরের ব্রিটিশ মেয়ের জীবন যন্ত্রণার করুণ কাহিনী আপনারা শুনলে হতবাক হবেন। টানা ১০ঘন্টা অপারেশনের পর তার টিউমার মস্তিষ্ক থেকে বের করা হয়।

Finally got relief after brain tumor operation

Bangla Jago Desk : একটি ১১বছরের ব্রিটিশ মেয়ের জীবন যন্ত্রণার করুণ কাহিনী আপনারা শুনলে হতবাক হবেন।নাবালিকা দীর্ঘসময় মাথা ব্যথায় ভুগছিল। এই মাথা ব্যথায় কাতর হয়ে সে বারবার চিকিৎসকদের কাছে যায়। চিকিৎসকরা তাকে বারবার ভুল চিকিৎসা  করেন।ভুল চিকিৎসার শিকার হয় সেই মেয়েটি।অন্ততঃ ৩০বার সে এইভাবে ভুল চিকিৎসার জন্য হয়রানির মুখে পড়ে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট,টিয়া গর্ডনের মতে, সে কোভিডের লকডাউনের সময় ২০২০র মার্চে প্রথম অসুস্থ হয়ে পড়ে।তারপর প্রায়শই মেয়েটি মাথা ব্যথায় অস্থির হয়ে পড়ত,এমনকি প্রতিমাসে তাকে চিকিৎসকের কাছে ছুটতে হত।

২০২৩এর নভেম্বর থেকে ২০২৪এর জানুয়ারির মাঝে টিয়া প্রায়দিন সকালে বমি করত, তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই রোগের প্রবণতা দেখে চিকিৎসকরা বলতে থাকেন, মেয়েটি মাইগ্রেনের জন্য মাথাব্যথায় ও পাকস্থলীর রোগে ভুগছে। এমনকি মাথা ব্যথা বেড়ে চলায় চিকিৎসকরা জানান,ঘুমের জন্য এই সমস্যা হচ্ছে।সেজন্য ফিজিওথেরাপিস্টের সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শও দেন চিকিৎসকরা। যখন মেয়েটি শরীরের ভারসাম্য হারাতে বসে,হাঁটার ক্ষমতাও হারাতে বসে তখন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।তড়িঘড়ি তার মস্তিষ্কের স্ক্যান করার পর ধরা পড়ে আসল সমস্যা।জানা যায় মেয়েটির মাথায় টিউমার হয়েছে। ৩.৫সেন্টিমিটার টিউমার সে মস্তিষ্কে বহন করছিল। টানা ১০ঘন্টা অপারেশনের পর তার টিউমার মস্তিষ্ক থেকে বের করা হয়। মেয়েটির মা ইমোগেন ডার্বি জানিয়েছেন, অসহ্য মাথা ব্যথা দেখে চিকিত্সকরা  এমনকি টিয়াকে চোখে চশমা পরার পরামর্শও দিয়ে বসেন। সেজন্য ৪বার তার চোখের চশমার পাওয়ার  চেঞ্জ পর্যন্ত করতে হয়।

তিনি আরও জানিয়েছেন,তাঁর সন্তানকে  মাইগ্রেনের জন্য নানা ওষুধ দেওয়া হয়েছিল,ওষুধ দেওয়া হয়েছিল  পাকস্থলীর রোগ নিরাময়ের জন্য। ৩বছরের বেশি সময় ধরে কিশোরীকে নিয়ে কিভাবে তাঁদের জীবন যন্ত্রণা বেড়ে যায় সেই কথাও ইমোগেন ডার্বি নিজের ভাষায় ব্যাখা করেছেন সবার কাছে।ব্রিটেনের মতো উন্নত দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার এই দশা দেখে অনেকেই হতবাক।ব্রিটেনের ক্যান্সার রিসার্চ সংস্থার তথ্য বলছে, প্রতিবছর ১৭৫টির কাছে শিশু ও কিশোর এই অ্যাস্ট্রোসাইটোমায় ভোগে।কিছু জিনগত কারণে হতে পারে। ব্রেন টিউমার চ্যারিটির নির্দেশক ক্যামেরন মিলার টিয়ার সুস্থতা কামনা করেছেন।আশা করেছেন,মেয়েটি সুস্থ হয়ে উঠবে।ইমোগান এই ধরণের বিষয় তাঁদের কাছে তুলে ধরায় ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি। অন্যান্য রোগীর মতোই এই বছর এগারোর মেয়েটিও জীবনযুদ্ধের কঠিন অবস্থার মুখে পড়েছে বলেও স্পষ্ট করেছেন। এই রোগ নিরাময় ও রোগ দূরীকরণের লক্ষ্যে জাতীয় ব্রেন টিউমার নীতি গ্রহণের ওপরও জোর দিয়েছেন ক্যামেরন মিলার।