ad
ad

Breaking News

EVM

ভারতের ভোটে ব্যবহৃত হলেও বিদেশি অনেক রাষ্ট্রেই নিষিদ্ধ ইভিএম

আমেরিকার পাশাপাশি ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, নেদারল্যান্ডসের মতো উন্নত দেশ কিন্তু ভোটের ক্ষেত্রে ইভিএমের প্রযুক্তিতে বিশ্বাস করে না। এসব দেশে ভোটে বৈদ্যুতিক ভোট যন্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ।

Although used in Indian elections, EVMs are banned in many foreign countries

Bangla Jago Desk: দোরগোড়ায় ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্রে সাংসদ নির্বাচনের জন্য মোট ৭ দফায় ভোট হবে। ১৯৫২ সালে ভারতে প্রথমবার ভোট হয়। প্রথম নির্বাচন কমিশনার ছিলেন এক বাঙালি, সুকুমার সেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে ৪ মাস ধরে নির্বাচন পর্ব চলে। ১৯৫১ সালের ২৫ অক্টোবর প্রথম ভোট হয় হিমাচল প্রদেশের চিনিতে। পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয় নির্বাচনি প্রক্রিয়া। তখন ব্যালট পেপারে ভোট হত। ১৯৮২ সালে প্রথম বার পরীক্ষামূলক ভাবে কেরালার পারুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটে বৈদ্যুতিক ভোট যন্ত্র বা ইভিএম ব্যবহার করা হয়। ১৯৯৮ সালের লোকসভা নির্বাচনেও ব্যাপকহারে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছিল তবে ২০০৪ সালের ভোটের সময় থেকে সব বুথেই ব্যবহার করা হয় ইভিএম। কিন্তু জানেন কি ভারতের ভোটে যে ইভিএম ব্যবহার করা হয় সেই বৈদ্যুতিক ভোট যন্ত্র কিন্তু নিষিদ্ধ আমেরিকা-সহ প্রথমসারির বেশ কয়েকটি দেশে।

আমেরিকার পাশাপাশি ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, নেদারল্যান্ডসের মতো উন্নত দেশ কিন্তু ভোটের ক্ষেত্রে ইভিএমের প্রযুক্তিতে বিশ্বাস করে না। এসব দেশে ভোটে বৈদ্যুতিক ভোট যন্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ। আমেরিকায় ইমেইল বা ফ্যাক্সের মাধ্যমে ই-ভোটিং দেওয়া যায়।

২০০৬ সালের অক্টোবরে নেদারল্যান্ডসে ভোটে ইভিএম ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। ২০০৯ সালে আয়ারল্যান্ড এবং ইতালিতেও ভোটে বৈদ্যুতিক ভোট যন্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়। ২০০৯ সালের মার্চে জার্মানির সুপ্রিম কোর্ট ভোটে বৈদ্যুতিক ভোট যন্ত্র ব্যবহারকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ করেছিল। তবে ভারতে বিরোধীরা ভোটে ইভিএম ব্যবহার নিষিদ্ধ করার দাবি তুললেও এখনো ভোটে ব্যালট পেপারকে ফিরিয়ে আনা হয়নি। ভারত ছাড়া ব্রাজিল, ফিলিপিন্স, বেলজিয়াম, এস্টোনিয়া, ভেনেজুয়েলা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, জর্ডন, মালদ্বীপ, নামিবিয়া, মিশর, নেপাল এবং ভুটানে ভোটে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। নেপাল, ভুটান ও নামিবিয়া ভারতের তৈরি ইভিএম ব্যবহার করে। ভারত ইভিএমের প্রযুক্তিগত সাহায্য করে জর্ডান, মালদ্বীপ, নামিবিয়া, মিশর, নেপাল এবং ভুটানকে।





ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় প্রাচীন গ্রিসে এক উচ্চ আদালত ছিল যার সদস্যদের ডিকাস্টস বলা হয়। গোপন ভোটের মাধ্যমে এঁদের নির্বাচন করা হত। সে সময় বল, গুটি, পাথর এসব ব্যবহার করা হত কারণ কাগজের প্রচলন ছিল না। প্রাচীন রোমেও এরকম আইন ছিল। মধ্যযুগে রঙিন বল ব্যালট হিসাবে ব্যবহার করা হত। প্রথম বার কাগজের ব্যালটে ভোট নেওয়া শুরু হয় ১৯২৫ সালে ফ্রান্সে। সংসদীয় ভোটের ক্ষেত্রে প্রথমবার ব্যালটে ভোট হয় ১৮৫৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া আইন পরিষদের নির্বাচনে। এরপর অস্ট্রেলিয়ার নানান রাজ্যে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট হয়। ইতালিতে ১৮৫৯, ব্রিটেনে ১৮৭২ ও আমেরিকার ম্যাসাচুসেটসে প্রথমবার ব্যালটে ভোট হয়।