ad
ad

Breaking News

money market

ইতিবাচক স্থিতাবস্থা বজায় অর্থবাজারে

বৃহস্পতিবারের শেয়ার বাজার নিয়ে বলতে গেলে যে কথাটা প্রথমেই মনে আসবে তা হল অত্যন্ত নিরুত্তাপ দিন কাটল।

The positive status quo is maintained in the money market

Bangla Jago Desk , পার্থসারথি গুহ : বৃহস্পতিবারের শেয়ার বাজার নিয়ে বলতে গেলে যে কথাটা প্রথমেই মনে আসবে তা হল অত্যন্ত নিরুত্তাপ দিন কাটল। ওপরের দিকে সেভাবে কিছু যোগ না হলেও পয়েন্টের নিরিখে ফের নতুন উচ্চতা ছুঁল নিফটি। সেনসেক্সও ৭৪ হাজারের ওপর বেশ টগবগে মেজাজে। অনেকদিন পর স্মল ক্যাপ এবং মিডক্যাপে বেশ কিছু কেনাকাটা হয়েছে। ফ্রন্টলাইনারদের মধ্যেও বিগত কিছুদিন চাঙ্গা ভাব রয়েছে। সেজন্যই হয়তো বাজার ক্রমাগত ওপরে যাচ্ছে।ছুটিছাটা বাদ দিলে সপ্তাহে ৫ দিন শেয়ার বাজার চালু থাকে। তারমধ্যে অবশ্য ব্যতিক্রমও আছে। যেমন, গত ২ মার্চ অল্প সময়ের জন্য বিশেষ ট্রেডিং সেশন চলেছিল এনএসই ( ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ) এবং বিএসই ( বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ) তে।

মুহূরৎ ট্রেডিং এর দিনেও শনিবার ট্রেডিং হওয়ার উদাহারণ আছে। যদিও ভারতের শেয়ার বাজারের ক্ষেত্রে এমন কিছু ইভেন্ট বা ঘটনা আছে যেসময় অর্থবাজার রীতিমতো আলোড়িত হয়। সাম্প্রতিক অতীতে তার সবথেকে বড় নমুনা হল করোনা কাল। বস্তুত,কোভিড আশঙ্কায় ২০২০-র মার্চ মাসে শেষবারের জন্য বিরাট পতনের সম্মুখীন হয়েছিল ভার‍তের শেয়ার বাজার। নিফটি প্রায় ১০ হাজার এর নিচে এবং সেনসেক্স চলে এসেছিল ২৫ হাজারের কাছে। এছাড়াও নানা বড় ইভেন্টের জেরে বাজারের প্রবল উত্থান এবং অবতরণের ভুরি ভুরি নজির রয়েছে। করোনার সময়ের সেই প্রবল পতন থেকে এই মুহূর্তে উভয় সূচক ৩ গুনেরও বেশি বেড়েছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আশার পারদও চড়তে শুরু করেছে৷ এই মুহূর্তে সবাই বলছেন,নিফটির ১ লাখ হওয়ার কথা। সেনসেক্সের ক্ষেত্রে যা ৩০ হাজার অতিক্রমের সামিল। আনন্দের এত ঘনঘটার মধ্যেও চাপ যে একেবারেই নেই তা নয়।

লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের ক্ষেত্রে যদি বিরূপ কিছু ঘটে বর্তমান সরকারের সঙ্গে তবে কিন্তু সর্বাধিক ভুক্তভোগী হবে অর্থবাজার এবং সাধারণ লগ্নিকারী-রাই। যদিও সেই চিন্তাকে পাত্তা না দিয়ে আপাত লগ্নি জারির পক্ষে বিনিয়োগকারীদের এক বড় অংশ। যাঁরা এই ব্যাপারে আরও পোক্ত তারা হাতের শেয়ার ওপরে গেলে বেচছেন। এবং নিচে পেলেই খপাৎ করে ধরে নিচ্ছেন। আপাতত ২-৩ মাস এই ফর্মুলাতেই বাজার চলবে বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।