প্রতীকী চিত্র
Bangla Jago Desk: রাজস্থানের কোটা শহর, যা ভারতের অন্যতম বৃহৎ কোচিং হাব হিসেবে পরিচিত, সেখান থেকে আবারও দুঃখজনক খবর সামনে এসেছে। মাত্র ১৭ বছর বয়সী এক মেডিক্যাল পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। জয়াহর নগরের একটি হস্টেলের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে তার মৃত্যু হয়। চলতি বছরে এটি নবম আত্মহত্যার ঘটনা, যা কোচিং সেন্টারকেন্দ্রিক মানসিক চাপ ও প্রতিযোগিতার ভয়াবহ দিকটি আরও একবার সামনে আনল।
মৃত ছাত্রের নাম হংসরাজ শংকর। সে বিহারের নালন্দা জেলার বাসিন্দা এবং গত বছরের এপ্রিল থেকে কোচিং নিতে কোটা এসেছিল। হস্টেলের কেয়ারটেকার জানিয়েছেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যা থেকে সে ঘরের দরজা বন্ধ করে রেখেছিল। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখে, লোহার রডের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে সে। হস্টেলের ঘরে ‘আত্মহত্যা নিরোধক’ সিলিং ফ্যান থাকায়, সে বিকল্প উপায়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
আরও পড়ুনঃ বারাসাতে কন্টেনার বোঝাই গাড়ির ধাক্কা, আগুনে ভস্মীভূত বাইক
পুলিশ জানিয়েছে, হংসরাজের ঘর থেকে কোনো সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। তার পরিবারের সদস্যরা এলে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।কোটায় শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার ঘটনা বারবার সামনে আসছে, যা অভিভাবকদের উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে।
কঠোর প্রতিযোগিতা, প্রবল মানসিক চাপ ও একাকীত্বের ফলে অনেক ছাত্র মানসিক অবসাদে ভুগছে। যদিও প্রশাসন ও বিভিন্ন সংস্থা ছাত্রদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় নানা উদ্যোগ নিচ্ছে, তবুও মৃত্যুমিছিল থামানো সম্ভব হচ্ছে না। গত বছর কোটায় ১৭ জন ছাত্র আত্মহত্যা করেছিল, আর এই বছর সেই সংখ্যাটা ইতিমধ্যেই ৯-এ পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা করা যায়, তা নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।