ad
ad

Breaking News

Hoogly

Hoogly: চা বিক্রেতা থেকে বহুরূপী! মুখে রঙ মেখে হাসি মুখে লড়াই অশোকের

এই যেমন মাহেশের রথযাত্রার দিনে তিনি মাহেশ উপস্থিত হয়েছিলেন মহাদেব সেজে।

hooghly-halisahar-ashok-majumdar-bahurupi-struggle

চিত্রঃ নিজস্ব গ্রাফিক্স

Bangla Jago Desk:রাকেশ চক্রবর্তী, হুগলি: একটা সময় চায়ের দোকান চালিয়ে পরিবারের পেট পালন করতেন হালিশহরের বাসিন্দা অশোক মজুমদার ( Hoogly)। তার চায়ের দোকান ছিল হালিশহর শহরে রাস্তার উপর একটি ছোট্ট গুমটি। গত বছর বেআইনি জবরদখল উচ্ছেদের কাজে নামে প্রশাসন। তাতেই দোকান হারিয়েছেন বছর ৫৬-র অশোক মজুমদার। তাই পেট চালাতে বেছে নিয়েছেন নতুন পেশা। এখন তিনি বহুরূপী সেজে মানুষের কপালে টিপ পরিয়ে উপার্জন করেন। জীবন সংগ্রামের লড়াই যে ঠিক কতটা কঠিন তা হয়তো কিছুটা বোঝা যায় বছর ৫৬ এই প্রৌঢ় কে দেখলে।

[আরও পড়ুনঃ Lia Thomas: মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্দেশেই পদক খোয়ালেন লিয়া টমাস]

রোজগারের তাগিদেই তিনি মুখের রং মেখে মাথায় পট চুল লাগিয়ে কখনো হন কালি কখনো বা মহাদেব। এই যেমন মাহেশের রথযাত্রার দিনে তিনি মাহেশ উপস্থিত হয়েছিলেন মহাদেব সেজে। এখানে এসে বিভিন্ন ভক্তদের কপালে টিপ পোড়ানোর কাজ করছিলেন। তাতে খুশি হয়ে ভক্তরা যা দেয় তাই দিয়েই চলে তার সংসার। সংসারে বউ ছেলে মেয়ে সকলেই রয়েছে। যদিও ছেলেরা বড় হয়ে আলাদা হয়ে গেছে তাদের সংসার আলাদা। আর এখন তিনি তার স্ত্রী ও তার দুই পোষ্যকে নিয়ে চলে সংসার। সংসার চালানোর জন্য তিনি বিভিন্ন মেলা অনুষ্ঠান বাড়ির এই সমস্ত জায়গায় হাতে মুখে রং লাগিয়ে সং সেজেই উপার্জন করেন।( Hoogly)

[লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/Banglajagotvofficial]

আগে যখন চায়ের দোকান ছিল তার সেই চায়ের দোকান থেকেই তার উপার্জন চলত। এখন উপার্জন করতে গেলে হাঁটতে হয় তাকে মাইলের এরপর মাইল।  রথযাত্রায় মাহেশ জগন্নাথ মন্দির চত্বরের রথের মেলায় মহাদেব সেজে তিনি যখন উপস্থিত হন তাকে দেখে বেশ কিছু উৎসুক মানুষ এগিয়ে আসেন তার কাছে টিপ পড়তে। দশ টাকা পাঁচ টাকা যে যেমন দেয় তাই দিয়েই হয় তার উপার্জন। যদি কোনদিনও কপাল ভালো থাকে, ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত তিনি উপার্জন করে নেন। আর কোন কোন দিন আবার তেমন কিছুই হয় না। জীবন অনেক কষ্ট আছে। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে তিনি। পেট চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় তাকে। তবুও সদা হাসিমুখে মানুষের ভিড়ের মধ্যে মিশে মানুষকে আনন্দ দিয়ে নিজের দুঃখ ঢাকেন হালিশহরের অশোক মজুমদার।