Bangla Jago Desk: কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, রাসেলের সঙ্গে আর্থিক চুক্তি নিয়ে নাইট ম্য়ানেজমেন্টের সঙ্গে নাকি মতপার্থক্য হচ্ছে। সেকারণে রাসেলকে আপাতত রিলিজ করে দেওয়া হবে। যাইহোক, শেষপর্যন্ত রাসেলের বিশ্বস্ততার দাম দিল কেকেআর। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় প্রকাশিত হল আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিদের রিটেনশন লিস্ট। এই তালিকায় বড়সড় চমক রেখেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তারা দলের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারকেই রিলিজ করে দিয়েছে। কেকেআর সমর্থকদের অবশ্যই একটা বড়সড় ধাক্কা।
এই রিটেনশন তালিকায় কেকেআর ম্যানেজমেন্ট মোট ৬ ক্রিকেটারকে রেখেছে। তাঁরা হলেন রিঙ্কু সিং, বরুণ চক্রবর্তী, সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেল, হর্ষিত রানা, রমনদীপ সিং। রাসেল ছাড়া এই তালিকা যে প্রত্যাশিত, তা বলা যেতেই পারে। এবার প্রশ্ন হল, শ্রেয়সের জুতোয় পা গলাবেন কে? ফাফ ডু প্লেসি’র বয়স এমনিতেই ৪০ বছর হয়ে গিয়েছে। বার্ধক্যের কারণে অধিনায়কত্ব তো দূর, মেগা অকশনে কোনও দল তাঁকে নিতে চাইবে কি না, তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
তালিকায় রয়েছেন শিখর ধাওয়ানও। বেশ কয়েকমাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে রয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটের ‘গব্বর’। এমনকী, গত আইপিএল মরশুমে পঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক হিসেবেও খুব একটা বেশি নজর কাড়তে পারেননি তিনি। এই পরিস্থিতিতে কেকেআর তাঁর কাঁধে অধিনায়কত্ব তুলে দেওয়ার সাহস দেখাবে, তেমনটা কিন্তু মনে হয় না। এরপর বাকি থাকে ২ জন। প্রথমজন ঋষভ পন্থ এবং অপরজন কেএল রাহুল। অধিনায়ক হিসেবে ঋষভের পারফরম্য়ান্স একেবারেই নজরকাড়া নয়। ২০২০ সালের পর থেকে দিল্লি ক্যাপিটালসের পারফরম্যান্স গ্রাফ ক্রমশ নিম্নমুখী হয়েছে। শেষ তিন বছর তো দলটা প্লে-অফেও উঠতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে ঋষভকে দলে নিয়ে একটা তো রিস্ক ফ্যাক্টর থেকেই যায়।
তবে রাহুলকে দলে টানতে গেলে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে আবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। কারণ আরসিবি-ও তাদের অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিকে রিলিজ করেছে। বিরাট যদি বেঙ্গালুরুকে নেতৃত্ব না দেন, তাহলে তাদেরও একজন নতুন অধিনায়কের দরকার পড়বে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে রাহুলের থেকে বেটার অপশন আরসিবি-র কাছে তো আর কিছু হতে পারে না। ইতিপূর্বে, ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত রাহুল বেঙ্গালুরুর জার্সিতে খেলেছেন।তিনি নিজেও ঘর ওয়াপসি করতে চাইবেন। সেক্ষেত্রে লড়াইটা আরও কঠিন হয়ে যাবে।