চিত্র : সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: বুধবার থেকে শুরু হয়ে যাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ২০২৫ সালে এই হাইভোল্টেজ ট্রফির ঢাকে কাঠি পড়ার আগে আইসিসির পক্ষ থেকে বেছে নেওয়া হল সেরা পাঁচটি ম্যাচ।
২০০২ সাল ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
এই ম্যাচে ভারতীয় ক্রিকেটার বীরন্দ্র সেহওয়াগ। সেই সময় দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য দরকার ছিল ৯ ওভারে ৬২ রান। হাতে সাত উইকেট। সেহয়াগের ওভার যখন শেষ হল তখন দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ৬ বলে ২১ রান। এরপর সেহওয়াগকে তাঁর শেষ ওভারের প্রথম বলে ওভার বাউন্ডারি হাঁকালেন ক্যালিস। পরের বলে ক্যালিসকে আউট করলেন তিনি। ওভারের শেষ বলে ক্লুজনারকে আউট করা মাত্রই ভারত পৌঁছে গেল ফাইনালে।
শুধু বল হাতেই নয়, শেহওয়াগ এই ম্যাচে ৫৮ বলে ৫৯ রান করেছিলেন। প্রথমে ব্যাট করে ভারত সংগ্রহ করেছিল ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬১ রান। কিন্তু শেহওয়াগ বল হাতে তুলে নিতেই কার্যত তাঁর কাছেই হার মানল প্রোটিয়ারা।
২০০৪ সাল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম ইংল্যান্ড
ক্যারিবিয়ান ব্যাটার শিবনারায়ণ চন্দরপল তখন সবাই ধরে নিয়েছিলেন এই ম্যাচ থেকে হারের জ্বালা নিয়েই মাঠ ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সময়ের অপেক্ষা মাত্র। কিন্তু ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। তার প্রমাণ এই ম্যাচেও পাওয়া গিয়েছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাতে ছিল দুই উইকেট। জেতার জন্য রানের দরকার ছিল ৭১ রান। ওভালের ২২ গজে সেই ম্যাচে আর চন্দরপল প্যাভেলিয়নে ফেরার পর আর কোনও উইকেট না হারিয়েই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে অবিশ্বাস্য ব্যাট করে দলকে জয়ের স্বাদ পাইয়ে দিয়েছিলেন কোর্টনি ব্রাউন ও ইয়ান ব্রাশর। ব্রাউন ৫৫ বলে ২৪ এবং ব্রাডশর ৫১ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থেকে যান দুজনেই। ৮০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও যেভবে শীতের লন্ডেন ক্যারিবিয়ানরা ম্যাচ জিতেছিলেন, তা এক কথায় অবিশ্বাস্য।
২০০৯ সাল ইংল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
এই ম্যাচটা গ্রুপ পর্বের ম্যাচ হলেও সেঞ্চুরিয়ানের ম্যাচটির কথা ভুলতে পারেননি অনেক ক্রিকেটপ্রমীই। সেই ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ২২ রানে হারিয়ে শেষ চারে খেলার ছাড়পত্র আদায় করে নিয়েছিলেন প্রোটিয়ারা। ইংল্যান্ডের হয়ে দূরন্ত ব্যাট করা ওয়াইশ শাহ ৯৮, কলিংউড ৮২ এবং মরগ্যানের ৬৭ রানের জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৩২৩ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন অ্যান্ডারসন ও ব্রডর। কিন্তু হলে কি হবে, অপর প্রান্তে বুক চিতিয়ে লড়াই করছিলেন স্মিথ। ৪৭ ওভারে দূরন্ত খেলা স্মিথ যখন ইনিংস শেষ করলেন তখন তাঁর নামের পাশে শোভা পাচ্ছে ১৪১ রান। ম্যাচ শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২৭৪/ ৯ উইকেটের বিনিময়ে।
২০১৩ সাল, নিউজিল্যান্ড বনাম শ্রীলঙ্কা
১৩৮ রান করেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো টুর্নামেন্টে ম্যাচ জেতা যায় সেটা এই ম্যাচের জলন্ত উদাহরণ। কেননা অল্প রান তুলতেই নিউজিল্যান্ড হারিয়েছিল ৯ উইকেট। বল হাতে নিউজিল্যান্ড ব্যাটারদের কালঘাম ছুটিয়ে দিয়েছিলেন বল হাতে লাসিথ মালিঙ্গারা। একাই নিয়েছিলেন ৪টি উইকেট। তবে সে যাত্রায় নিউজিল্যান্ডকে বাঁচিয়েছিলেন টিম সাউদি ও মিচেল ম্যাকলেহানা।
২০১৭ সাল ভারত বনাম পাকিস্তান
কত রান বা কত উইকেটে কোন দল ম্যাচ জিতল তার হিসাব চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত বনাম পাকিস্তানের এই ম্যাচটিতে করা যাবে না। টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ভারত জিতেছিল ১২৪ রানে। এরপর ফাইনালে তারই মধুর বদলা নিয়েছিল পাকিস্তান।
ভারতকে হারিয়েছিল ১৮০ রানে। পাকিস্তানকে এই ম্যাচ জেতাতে সাহায্য করেছিলেন ফকর জামান। দূরন্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তিনি। তারই সুবাদে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৩৩৮ রান। আর জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপদের মুখে পড়ে ভারত। তারপর আর ম্যাচে ফিরে আসতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া।