ad
ad

Breaking News

Bikash Panji

প্রিয় ক্লাবের জয়ের দিনই নাতির জন্ম, এ আনন্দ আমার সারাজীবনের

টানা সাত ম্যাচে হারের যন্ত্রণা হাজার হাজার লাল-হলুদ সমর্থকের মতো আমাকেও কুঁড়ে কুঁড়ে খেত।

The joy of my grandson's birth on the day my favorite club won will be my whole life.

চিত্র: সংগৃহীত

Bangla Jago Desk: বিকাশ পাঁজি, প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার: টানা সাত ম্যাচে হারের যন্ত্রণা হাজার হাজার লাল-হলুদ সমর্থকের মতো আমাকেও কুঁড়ে কুঁড়ে খেত। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করতাম, কবে আমার প্রিয় ক্লাব ইস্টবেঙ্গল জয়ের মুখ দেখতে পাবে। যাক অবশেষে আমরা ঘরের মাঠে নর্থ-ইস্টকে হারাতে পেরেছি। এই জয় আমাকে যে কি আনন্দ এবং স্বস্তি দিয়েছে তা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।

আসলে যখন থেকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে খেলোয়াড় হিসাবে এসেছি, তখন থেকেই এই শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবের সঙ্গে আমার সম্পর্কের কথা আজ আর কারও অজানা নয়। এখনও আমি নিয়মিত ক্লাবের সঙ্গে জড়িত। এই ক্লাব আমার কাছে সবকিছু। কাজেই ক্লাব যখন একের পর এক ম্যাচে হারতে থাকে তখন আমার মনটাও বিষাদে ভরে ওঠে।

যাক অবশেষে স্বস্তি। ইস্টবেঙ্গল জয়ে ফিরেছে। আমি দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়দের কাছে একটাই অনুরোধ, এই আত্মবিশ্বাসটা ধরে রাখো। সাফল্য ধরা দিতে বাধ্য। এখনও আইসএল-এ অনেক ম্যাচ বাকি আছে। ম্যাচ ধরে ধরে এগিয়ে যাও। তাহলে আমরা সুপার সিক্সেও যেতে পারি।

এর পাশাপাশি দলের খুশির দিনই নাতির জন্ম হল। কাজেই এর থেকে খুশির দিন আর কিছু হতে পারে বলে আমার মনে হয় না। আমি আমার ছেলেকে বলেছি, নাতিকে ফুটবলার তৈর করব। দেখি সে ইচ্ছা পূরণ হয় নাকি! অনেক ছোট ছোট বাচ্চাদের এখন ফুটবল শেখাই। আমার নাতিও যখন ফুটবল পায়ে মাঠে দৌড়াবে, গর্বে তো আমার বুকটা ভরে যাবে। সবাই বলবে বিকাশ পাঁজির নাতি। দাদু শুধু নয়, প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার হিসাবে এর থেকে বড় আনন্দ আর কিছু হতে পারে না।