নিজস্ব চিত্র
Bangla Jago Desk: সুদীপ্ত ভট্টাচার্য: ১ বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ। বিশেষ দিনটিতে চিরচারিত প্রথা মেনেই বারপুজো অনুষ্ঠিত হল চলতি বছরেও অনুষ্ঠিত হল মোহনবাগান মাঠে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বারপুজোর মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। বেলা যত বাড়তে থাকে মোহনবাগান তাঁবুতে ততই বাড়তে থাকে মেরিনার্সদের আনাগোণা। আট থেকে আশি মোহনবাগান সমর্থকদের তখন একটাই স্থায়ী ঠিকানা মোহনবাগান তাঁবু।
মঙ্গলবার গোটা ক্লাব তাঁবু সেজে-ওঠে ফুল ও মালায়। সকালে বার পুজোর পরেই মঞ্চে আয়োজিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ঋষি চক্রবর্তী। এছাড়া প্রখ্যাত ফুটবলার করুণাশঙ্কর ভট্টাচার্যের লেখা একটি পুস্তক প্রচ্ছদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাগান সচিব দেবাশিস দত্ত।
মোহনবাগান ক্লাবের বারপুজো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে মানস ভট্টচার্য, রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় এবং দলের বর্তমান ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন সচিব দেবাশিষ দত্ত, বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষের মত মোহনবাগান ক্লাবের সদস্যরাও।
এবারের মোহনবাগান বারপুজো অনুষ্ঠানে বাড়তি আকর্ষণ ছিল আইএসএল-র দুটি ট্রফি। সেই ট্রফি চোখের সামনে দেখে তা একবার স্পর্শ করার জন্য সমর্থকরা যেন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। ট্রফি আসতেই তার সামনে সেলফি তুলতেও ব্যস্ত হয়ে পড়লেন বাগান সমর্থকরা।
[আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলের বারপুজোয় ফুটে উঠল পরম্পরার ছোঁয়া]
চলতি বছর মোহনবাগান আইএসএল-র ডবল ট্রফিই ঘরে তুলেছে, কাজেই সমর্থকদের বাড়তি উন্মাদনা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এদিন অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই যেন বাগানের নির্বাচনের দামামা আরও বাড়িয়ে দিলেন ফুটবল সচিব বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়।
ময়দানে এখন কর্পোরেট কালচার। দুই প্রধানের নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কর্পোরেট সংস্থার নাম। কিন্তু এক জায়গাতেই যেন হার মানে কর্পোরেট কালচার। যেখানে ছুঁয়ে যায় বাঙালির আবেগ, বাঙালির ভালবাসা। অর্থ্যাৎ বাংলা নববর্ষ মানেই বার পুজো।
আর বার পুজো মানেই সকাল থেকে সমর্থকদের আনাগোনা। প্রাক্তন ফুটবলারদের আনাগোনা, সঙ্গে পুরনো স্মৃতিচারণ। যা ফের একবার ভেসে উঠল মোহনবাগান তাঁবুতে। সঙ্গে থাকল বাগান সমর্থকদের জয়ধ্বনি-ও। যা এক আনন্দময় পরিবেশের সৃষ্টি করেছিল। সবার কণ্ঠেই তখন এক সুর, ‘আমরা মোহনবাগান। আমরা ভারত সেরা।’