চিত্র: সংগৃহীত
সুদীপ্ত ভট্টাচার্য: আবারও পর্বতের শৃঙ্গ জয় করতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লেন বাঙালী তরুণ পর্বতারোহী রানাঘাটের বাসিন্দা সুব্রত ঘোষ। জানা গিয়েছে, পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের শিখর জয় করতে গিয়েছিলেন মাউন্টেনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ কৃষ্ণননগরের দুই সদস্য সুব্রত ও রুম্পা। পেশায় দুজনেই শিক্ষক। তবুও পর্বতের শিখর জয়ের নেশাতেই তাঁরা ছুটে গিয়েছিলেন সাগরমাথা জয় করতে।
সাগরমাথা জয় করে মৃত্যুর কোলে সুব্রত pic.twitter.com/1qhzxs4OJg
— Bangla Jago Tv (@BanglaJagotv) May 16, 2025
বেশ ক্যাম্প থেকে লোডফেরি-সহ আবহাওয়ার সঙ্গে অনুশীলন সব কিছুই ঠিকঠাক ছিল। তারপর গত পরশু সুব্রত ও রুম্পা তাঁদের স্বপ্নজয়ের উদ্দেশ্য সফল করেছিলেন। মাউন্ট এভারেস্টের শিখর ছুঁয়েছিলেন ম্যাকের এই দুজন সদস্য। সাগরমাথার কোলে উড়িয়ে দিয়ে আনন্দে আত্মাহারা হয়েছিলেন রানাঘাটের সুব্রত ও রুম্পা। কিন্তু সেই আনন্দ তাঁদের বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। সাগরমাথার শৃঙ্গ ছুঁয়ে ক্যাম্প ফোরে নামার সময়ই ঘটল বিপত্তি। এভারেস্টের শেতশুভ্র বরফের চাদরেই চিরতরে ঘুমিয়ে পড়লেন সুব্রত। অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন আর এক পর্বতারোহী রুম্পা-ও। তবে তাঁকে ক্যাম্প-২ তে নামিয়ে নিয়ে আসছেন শেরপারা।
কিন্তু কি করে এমন দুর্ঘটনা ঘটল, তা জানতে পর্বতারোহী দেবাশীষ বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রুম্পা ও সুব্রত ৪নং ক্যাম্প থেকে অনেকটা দেরি করে সামিটের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন বলে শুনেছি। যেহেতু ওদের অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছিল, ফলে শৃঙ্গে পৌঁছতেও অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়। এবং সঙ্গে সঙ্গে ওদের অক্সিজেন ও শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তার ফলেই এমন দুর্ঘটনা ঘটল।
কেন ওই দুই পর্বতারোহী দেরি করেই চার নম্বর ক্যাম্প ছেড়েছিলেন জানতে চাইলে দেবাশীষবাবু বলেন, ‘সেদিন নাকি প্রচণ্ড হাওয়ার দাপট ছিল। সেই কারণে ওদের বের হতে দেরি হয়েছে। তবে অন্যরা যদি সামিটের উদ্দেশে যখন রওনা দিয়েছিল, সুব্রত ও রুম্পাদেরও উচিত ছিল বেরিয়ে পড়ার। বুঝতে পারছি না কেন ওরা দেরি করল। তবে পুরো বিষয়টা না জানলে তো আসল কারণটা বোঝা যাবে না।’