চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: কাঞ্চনজঙ্ঘার কোলে ছোট্ট পাহাড়ি শহর গ্যাংটক। সেই শহরের একটি কোণে আজও বহু স্মৃতি বহণ করে দাঁড়িয়ে আছে পালজোড় ফুটবল স্টেডিয়াম। ভারতের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে পালজোড় একদমই অপরিচিত নয়।
কেননা একটা সময় আন্তঃদেশীয় টুর্নামেন্টের মধ্যে অন্যতম সেরা টুর্নামেন্ট সিকিম গর্ভনস গোল্ডকাপ অনুষ্ঠিত হত এই স্টেডিয়াম ঘেরা মাঠেই। যে টুর্নামেন্ট খেলার জন্য কলকাতার তিন প্রধানের পাশাপাশি ভারতের অন্য প্রান্তের দলগুলিই অপেক্ষায় দিন গুণত।
কিন্তু কালের আবহে সেই টুর্নামেন্ট বন্ধ হয়ে পড়েছিল দীর্ঘ পাঁচ বছর। তার জেরেই আক্ষেপের সুর বয়ে বেড়াতেন এই ছোট্ট পাহাড়ি শহর থেকেই উঠে আসা প্রাক্তন ফুটবলাররা। তাঁদের পাশাপাশি হতাশা ঝড়ে পড়ত ময়দানের বহু প্রাক্তনীর গলাতেও। কেননা এইসব টুর্নামেন্ট থেকেই ভারতীয় ফুটবলে উঠে আসতেন বহু তারকা।
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসের ৮ তারিখ থেকে আবার গ্যাংটকের পালজোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সিকিম গভর্নস গোল্ড কাপ। প্রাক শীতের মরশুমে মিঠে রোদ গায়ে মেঘে বিশ্বের তৃতীয় পর্বতশৃঙ্গ স্লিপিং বুদ্ধকে সাক্ষি রেখে গ্যাংটকের ফুটবলপ্রেমীরা এখন আনন্দে মাতোয়ারা। ব্যতিক্রম নন লাল-হলুদের প্রাক্তন অধিনায়ক সঞ্জু প্রধানও।
সিকিম গর্ভনস গোল্ড কাপ আবার চালু হচ্ছে, সেই ব্যাপারে নিজের অনুভূতির কথা জানাতে গিয়ে আপ্লুত সঞ্জু। তিনি বলেন, দেখুন সিকিম গভর্নস গোল্ড কাপের পরিচয় নতুন করে দেওয়ার কিছু নেই। ভারতবর্ষের অন্যতম সেরা একটা টুর্নামেন্ট ছিল সিকিম গভর্নস গোল্ডকাপ।
কিন্তু মাঝে টুর্নামেন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা সত্যিই হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। কেননা গ্যাংটক-সহ সিকিমের ফুটবলপ্রেমীরা এই টুর্নামেন্টে খেলা দেখার জন্য পথ চেয়ে বসে থাকতেন। কিন্তু মাঝে টুর্নামেন্ট বন্ধ হযে যাওয়ায় সত্যিই সিকিমের প্রাক্তন ফুটবলার হিসেবে আমিও হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। মনটা খুব খারাপ হয়ে যেত। ভাবতাম আবার কবে শুরু হবে এই টুর্নামেন্ট?
কেন জানেন, আমি এখনও ভুলতে পারি না ভারতীয় ফুটবলে আমার উত্থান হয়েছিল এই সিকিম গভর্নস গোল্ড কাপ থেকেই। তারপরই আমি যোগ দিয়েছিলাম এয়ার ইন্ডিয়ায়। জানেন, আমার প্রিয় এই টুর্নামেন্ট ফের চালু হওয়ায় আমার ভীষণ আনন্দ হচ্ছে। যা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।
আমি চাইব এবার থেকে যেন প্রতি বছর এই টুর্নামেন্ট সুনামের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়। আর অংশগ্রহণকারী সব ক্লাবের কর্তাদের কাছে আমার একান্ত অনুরোধ, আসুন সবাই মিলে হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই টুর্নামেন্টকে রক্ষা করি। বাঁচিয়ে রাখি সারা জীবন।