Bangla jago Desk: দর্শকদের জন্য এখনও খোলেনি সব মণ্ডপ। তার আগে পথে নেমে পড়েছে উৎসবমুখর মানুষ। মহালয়া থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে উপচে পড়ছে ভিড়। শ্রীভূমি থেকে মুদিয়ালি- নেমেছে মানুষের ঢল। দ্বিতীয়া থেকে বাড়তে শুরু করেছে ভিড়। রাজপথে নামা মানুষের ঢল সামাল দিতে অনেক আগে থেকেই তৎপর হয়ে ওঠে কলকাতা পুলিশ। পুজোয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা থেকে শহর সচল রাখা বিরাট চ্যালেঞ্জ পুলিশের কাছে। এবারও সব পরিকল্পনা সাজিয়ে আগেভাগেই পথে নেমে পড়েছে কলকাতা পুলিশ।
একাধিকবার পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন লালবাজারের বড় কর্তারা। দিয়েছেন উপযুক্ত গাইডলাইন। যান নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে পথে নামা মানুষের ভিড় সামলাতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। ঠাকুর দেখতে পথে নামা মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, পুলিশ সেটা নিশ্চিত করতে চায়।চতুর্থী থেকে পথে নামছেন ৮ হাজার পুলিশকর্মীপঞ্চমী থেকে পথে থাকছেন ১৪ হাজার পুলিশকর্মীদায়িত্বে ১৮ জন ডিসি পদমর্যাদার আধিকারি কথাকবেন। ৮২ জন এসি ও ২৩০ জন ইনস্পেক্টরগোটা শহরে ৫১টি ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হয়েছে ।
সেখান থেকে বাইনোকুলার দিয়ে নজরদারি চলবেথাকবে ১৬টি কুইক রেসপন্স, ৩০টি অ্যাম্বুল্যান্স ও ৩০ ডিএমজি টিম রোমিও’-দের ওপর নজরদারিতে মহিলা পুলিশের ১৬টি ‘উইনার্স’ টিম ।পুজোর নিরাপত্তায় কোনও খামতি রাখতে চাইছে না কলকাতা পুলিশ। প্রতিবছর সেই চ্যালেঞ্জ উতরে যায় পুলিশ। গতবার ইউনেস্কো কলকাতার দুর্গাপুজোকে ‘হেরিটেজ’ স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই এবার পুজর বাড়তি জনসমাগমের সম্ভাবনা আছে। তার ওপর পুজোর মধ্যে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ম্যাচ আছে কলকাতায়। শহরের রাজপথে জনসমুদ্রের স্রোত গতিশীল রাখাই চ্যালেঞ্জ পুলিশের। যা প্রতিবার সসম্মানে উতরে যায় পুলিশ। এবারও তার অন্যথা হবে না বলে আত্মবিশ্বাসী পুলিশ।
Free Access