চিত্র - সংগৃহীত
Bangla Jago Desk : শনিবার আইএসএলের ফিরতি ডার্বি ম্যাচ। মুখোমুখি বাঙালির চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। এই ম্যাচে আমার কাছে সবসময়ই একটা আলাদা ম্যাচ। যে ম্যাচে কোনও ভবিষ্যৎবাণী চলে না। ডার্বি সব সময়ই অন্য মানসিকতার পরিচয় বহন করে। যে নিজেদের সেরা খেলাটা উপহার দিতে পারবে সেই ম্যাচ শেষে শেষ হাসি হাসবে এটাই ডার্বির পরম্পরা। ইতিহাস বলে শক্তিশালী দল নিয়েও অনেক সময় ডার্বিতে হারার উদাহরণও রয়েছে।
এই মুহূর্তে মোহনবাগানের পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভাল। ডার্বির আগে এটা একদিকে যেমন মোলিনার দলেক চিন্তামুক্ত রাখবে, ঠিক তেমনি আবার অন্যদিকে এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস বিপদে ফেলতে পারে মোহনবাগানকে। এটা কিন্তু মোহনবাগান কোচ থেকে খেলোয়াড় সকলকেই মাথায় রাখতে হবে। উদাহরণ হিসাবে বলতে পারি ১৯৭৭ সালের ডার্বি ম্যাচটার কথা। সেবার খাতায়-কলমে শক্তিশালী মোহনবাগানকে কিন্তু হারের মুখ দেখতে হয়েছিল অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল ইস্টবেঙ্গলের কাছে।
[ আরও পরুনঃ‘বাংলা জাগো’র খবরের জের, বালি পাচার রুখল প্রশাসন]
কাজেই মোলিনার ফুটবলাররা যদি ইস্টবেঙ্গলকে হালকাভাবে নিয়ে এই ম্যাচে মাঠে নামে তাহলে কিন্তু মস্ত ভুল করবে। মাথায় রাখতে হবে প্রতিপক্ষ দলটার নাম ইস্টবেঙ্গল। যাদের জার্সির রং লাল-হলুদ। বড় ম্যাচের আগে এটাই সৌভিক-নুংঙ্গাদের কাছে ভাল খেলার বাড়তি ইউএসপি। কেননা ইস্টবেঙ্গলের কাছে এই মুহূর্তে হারানোর কিছু নেই। সুতরাং ইস্টবেঙ্গল শনিবারের ম্যাচ অনেকটা খোলা মনেই খেলতে মাঠে নামবে। যেটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে মোহনবাগানের কাছে।
মোলিনার দল পয়েন্ট টেবিলের এক নম্বরে রয়েছে। কাজেই ওদের কাছে এখন প্রত্যেক ম্যাচেই গুরুত্বপূর্ণ। এটা বিরাট একটা চাপ। জয়ের বাড়তি চাপেই ডার্বি ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের থেকে মোহনবাগান অনেক বেশি চাপে রয়েছে। এই সুযোগটা যদি লাল-হলুদ ফুটবলাররা কাজে লাগাতে পারে, তাহলে ইস্টবেঙ্গলের জয় পেতে কোনও অসুবিধা হবে বলে আমার মনে হয় না। প্রাক্তন ফুটবলার হিসাবে বহু ডার্বি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে আমার ঝুলিতে। কাজেই ওই অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, আমার চোখে খোঁচা খাওয়া ইস্টবেঙ্গল সবসময়ই ফেভারিট। কাজেই শনিবারের ম্যাচে কে কি বলছেন আমি জানি না, আমার মন বলছে গুয়াহাটির ডার্বি ম্যাচ থেকেই বাজিমাত করবে অস্কারের ইস্টবেঙ্গলই।