Bengla Jago Desk: তিনি জাদু দেখান মাঠে । বা পায়ের জাদু । সপ্তম পর্ব ছাপিয়ে আরো এক ধাপ উচ্চতায় ওঠেছেন লিওনেল মেসি। জমকালো এক রাতে মেসি জিতলেন নিজের অষ্টম ব্যালন ডি অর। যে কীর্তিতে মেসি আগেই ছিলেন অনন্য, এবার সেটাকেই এক ধাপ বাড়িয়ে নিলেন!মঞ্চটা প্রস্তুত ছিল আগে থেকেই। ব্যালন ডি’অরের জন্য বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে ২০২২ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই সময়কে। এই সময়ে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতার পাশাপাশি পিএসজির হয়ে ফ্রেঞ্চ লিগ জিতেছেন লিও মেসি। এমনকি নতুন ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়েও দারুণ শুরু করেছিলেন।লিওনেল মেসির যাদুকরী পারফরম্যান্সে ভিত্তি করে ২০২২ সালে বিশ্বকাপ জয় করে আর্জেন্টিনা।
এই আসরে মেসি ছিলেন দুর্দান্ত বিশ্বকাপে ছিল ৭ গোল। পেয়েছেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল।এই ব্যালন জয়ের মাধ্যমে নিজের রেকর্ডকে আরও দূরে নিয়ে গিয়েছেন মেসি। বিশ্বমঞ্চে তার আবির্ভাবের আগে সবচেয়ে বেশি ব্যালন জয়ের রেকর্ড ছিল ৩ জনের। ২০১২ সালেই তাদের ছাপিয়ে রেকর্ড চতুর্থ ব্যাল জেতেন মেসি। ২০০৯ থেকে টানা চার ব্যালন ডি অর গিয়েছিল মেসির হাতে। মাঝে পর্তুগিজ সুপারস্টারের সাথে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল মেসির। ২০১৫ সালে নিজের পঞ্চম ব্যালন ডি অর পান মেসি।
২০১৯ সালে রোনালদোকে ছাড়িয়ে নিজের ষষ্ঠ ব্যালন ডি অর জেতেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এরপর ২০২১ সালে জেতেন সপ্তম ব্যালন ডি অর। আর ২০২৩ সালে নিজের অষ্টম ব্যালন জিতে নিজেকে তিনি নিয়ে গিয়েছেন অন্য এক উচ্চতায়।গত বছরটা অন্যতম সেরা কেটেছে মেসির। তিনি আর্জেন্তিনার হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন। গোল্ডেন বলও জিতেছেন তিনি। ৩৬ বছরের বিশ্বকাপের খরা কেটেছে তাঁর হাত ধরেই। ক্লাব ফুটবলে মেসির সময়টা ভালো না গেলেও দেশের জার্সিতে তিনি সেরা সময় কাটাতে পেরেছেন। সেটারই পুরস্কার ছিল এই ব্যালন ডি’অর।
Free Access