চিত্র - সংগৃহীত
Bangla Jago Desk :
মহমেডান-১ বেঙ্গালুরু এফসি-০
আইএসএলের আসরে শনিবার দ্বিতীয় জয় তুলে নিল মহেমডান। বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে সুনীল ছেত্রীদের ১-০ গোলে হারিয়ে মূল্যবান তিন পয়েন্ট তুলে নিল চের্নিশভের দল। ধারে ও ভারে এগিয়ে থাকা বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে প্রথম ম্যাচে হারের মধুর বদলাও নিয়ে নিলেন ইরশাদ-রেমসাঙ্গা-কাশিমভরা।
আইএসএলের শনিবার প্রথম ম্যাচে কান্তিরাভায় বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি হয়েছিল মহমেডান। এর আগে নিজেদের হোম ম্যাচে কিশোর ভারতীতে দূরন্ত লড়াই করেও সুনীল ছেত্রীদের বিপক্ষে ২-১ গোলে হারতে হয়েছিল মহমেডানকে। কাজেই বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে শনিবারের অ্যাওয়ে ম্যাচে নিজেদের ডিফেন্স লাইনকে মজবুত করেই বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে দল সাজিয়েছিলেন মহমেডানের রাশিয়ান কোচ। সেই কারণে ৫ ডিফেন্ডারের মধ্য ইরশাদকে রেখিছেলন ডিফেন্সিভ ব্লকার হিসাবে। মাঝমাঠের দায়িত্বে ছিলেন কাশিমভ, অ্যালেক্সিস ও বিকাশ সিংরা। ওপরে একা ফ্রাঙ্কা।
[ আরও পড়ুনঃকাশিমভের গোলে বেঙ্গালুরুকে হারাল মহমেডান]
মহমেডান কোচ ভালই জানেন, লিগ দু’ নম্বরে থাকা বেঙ্গালুরু যে ঘরের মাঠে শুরু থেকেই আক্রমণের ঢেউ তুলবে। তাঁর ধারণা একেবারেই ভুল ছিল না। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই বেঙ্গালুরুর কোচ একসঙ্গে মাঠে নামিয়ে দিয়েছেলন পেরেইরা দিয়াজ, উইলিয়ামস এবং সুনীল ছেত্রীকে। উদ্দেশ্য ছিল পরিষ্কার। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গোল তুলে মহমেডানকে চাপে ফেলা।
প্রথমার্ধের শুরুতেই বেঙ্গালুরু আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে থাকে মহমেডান রক্ষণে। ৭ ও ১২ মিনিটে পর পর দুটি সহজ সুযোগ পেয়েও তা থেকে কাজে লাগাতে পারলেন না বেঙ্গালুরুর স্ট্রাইকার উইলিয়ামস। না হলে বেঙ্গালুরু এগিয়ে যেতেই পারত। এরপরই খেলায় ফিরে পাল্টা আক্রমণে আসতে থাকে মহমেডানও। কখনও ডান প্রান্ত থেকে রেমসাঙ্গা আবার কখনও বাম প্রান্ত থেকে অ্যালেক্সিস বা ফ্রাঙ্কারা বেঙ্গালুরুর বক্সে হানা দিতে থাকেন। ২৪ মিনিটে ফ্রাঙ্কা বক্সে বেঙ্গালুরু গুরপ্রীত সিংকে একা পেয়েও যেভাবে সহজ সুযোগ মিস করলেন, তা চোখে দেখা যায় না।
[ আরও পড়ুনঃআরও এক দেহ উদ্ধার, ষষ্ঠ দিনেও চলছে উদ্ধার অভিযান]
এরপর ৩০ মিনিটে আবার বেঙ্গালুরুর হয়ে মহমেডান গোল লক্ষ্য করে পেরেইরা দিয়াজ জটলার মধ্য থেকে শট নিলে তাও কোনওরকমে বাঁচিয়ে দেন সাদা-কালো ডিফেন্ডাররা। পাল্টা আক্রমণে অ্যালেক্সিস সুযোগ পেলেও তাঁর নেওয়া শট বারের উপর দিয়ে চলে যায়। এই অর্ধেই সাদাকালো ডিফেন্ডার ফ্লোরেন্ট ওজিগার হোম ম্যাচের মতোই নিজের জালে প্রায় বল ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সে যাত্রায় মহমেডানকে কোনওরকমে রক্ষা করেন গোলরক্ষক পদম ছেত্রী। না হলে যে পিছিয়ে পড়তেই পারত সাদা-কালো ব্রিগেড। যাইহোক প্রথমার্ধের খেলা গোলশূন্যভাবেই শেষ পর্যন্ত শেষ হল।
প্রথমার্ধের খেলা যেখানে শেষ হয়েছিল, দ্বিতীযার্ধে ঠিক সেখান থেকেই খেলা শুরু করল দুই পক্ষ। ৫২ মিনিটে বেঙ্গালুরুর সুনীল ছেত্রী গোলের সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারলেন না। হোম ম্যাচে মহমেডানের বিপক্ষে গোল তুলে নিতে এরপরও ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করতে থাকলেন রাহুল ভেকে-দিয়াজরা। কিন্তু সাদা-কালো রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের লড়াই যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখল। অনবদ্য লড়াই করলেন কাশিমভরা।
ম্যাচের ৮৮ মিনিটে বেঙ্গালুরু বক্সের বাইরে থেকে ফ্রিকিক থেকে নেওয়া কাশিমভের করা দূরন্ত ফ্রিকিক গুরপ্রীতকে বোকা বানিয়ে বল যেভাবে বেঙ্গালুরুর জালে জড়িয়ে গেল, তাতে ভারতের এক নম্বর গোলরক্ষকের কিছুই করার ছিল না। ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের এক ধাপ ওপরে উঠে এল মহমেডান। অন্য দিকে ম্যাচ হেরে বেঙ্গালুরু ২ নম্বর স্থান ধরে রাখলেও তাদের সঙ্গে শীর্ষে থাকা মোহনবাগানের পয়েন্টের ব্যবধান হয়ে দাঁড়াল ৫ পয়েন্ট।