চিত্র - সংগৃহীত
Bangla Jago Desk : প্যারিস অলিম্পিক্সের টেনিস কোর্ট থেকে অ্যান্ড্রি মারের বিদায়ের স্মৃতিটা এখনও পুরোপুরি আবছা হয়নি টেনিস প্রেমীদের চোখে। কেননা চোটই তাঁকে কাহিল করে দিয়েছিল। সেই কারণেই প্যারিস অলিম্পক গেমসের পর আন্তর্জাতিক টেনিস থেকে বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অ্যান্ডি মারে।
অবশ্য মারেকে বেশিদিন কোর্ট থেকে দূরে থাকত হল না। তার অন্যতম কারণই হল একদা প্রতিদ্বন্দ্বী নোভাক জকোভিচের একটা এসএমএস বার্তা। সবে মাত্র মাস চারেক হয়েছে মারে টেনিস ব্যাটকে তুলে রেখে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চুটিয়ে সময় কাটাচ্ছেন। ঠিক সেই সময় জোকারের এসএমসটি পৌঁছল মারের কাছে। সূত্রের খবর, জোকার তাঁকে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন টুর্নামেন্টে তাঁর কোচ হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। এবং ২৫তম গ্র্যান্ডস্লাম খেতাব জয় করতে মারের সাহায্যও চেয়েছিলেন এই সার্বিয়ান তারকা। তবে জোকারের অনুরোধ ফেলতে পারেননি মারে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন জোকারকে।
[ আরও পড়ুনঃনির্জন দ্বীপে চাকরির সুযোগ, বিশ্বের মধ্যে সব চেয়ে বহু মূল্য চাকরির সন্ধান, কোথায়?]
প্রসঙ্গত, রবিবার থেকে শুরু হবে অস্ট্রেলিয়া ওপেন। আর সেই ওপেনে জোকারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে টেনিস ব্যাট হাতে কোর্টে মারেকে দেখা না গেলেও, তিনি থাকবেন ডগআউটের হটসিটে। এই প্রসঙ্গে, মারে বলেন, জোকারের কোচ হিসাবে দায়িত্ব পালন করা মোটেই সহজ নয়। কেননা, ওঁর সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, জোকার যখন কোর্টে নেমে নিজের দিকে চিৎকার করবে, তবে প্রতিপক্ষ হারানোর জন্য ও যদি নিজের সেরাটা দিয়ে ম্যাচ জিতে আমার দিকে চিৎকার করলেও আমি কিছু মনে করবো না।’
[ আরও পড়ুনঃবানি মিউজিয়াম থেকে মিউজিয়াম অফ সেক্স! বিশ্বের আনাচে কানাচে অদ্ভুতুড়ে সব যাদুঘর!]
উল্লেখ্য, মারে এবং জোকার টেনিস কোর্টে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও, মাঠের বাইরে অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের দুজনের মিল অসামান্য। যেমন জোকার এবং মারে ১৯৮৭ সালের মে মাসে জন্মগ্রহণ করেন। মারে অবশ্য জোকারের থেকে ৭ দিনের বড়। ১৫ মে মারের জন্ম এবং ২২ মে পৃথিবীর আলো দেখেন জোকার। মাঠের লড়াইয়ে মোট ৩৬ বার পরস্পর পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে। তার মধ্যে অবশ্য মোট ২৫ বার জয়ের মুখ দেখেছেন সার্বিয়ান জোকার। আর মারে জিতেছেন মাত্র ১১টি ম্যাচ। এবং মোট সাতটি গ্র্যান্ডস্লামের ফাইনালে তাঁরা দুজনে পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেখানেও পাল্লা ভারি জোকারের। পাঁচটিতেই জিতেছিলেন তিনি। আর মারে জিতেছিলেন মাত্র দুটিতে। এখন দেখা যাকে মারকে কোচ করে জীবনের ২৫তম গ্র্যান্ডস্লামের খেতবের মুকুট জোকারের মাথায় শোভা পায় কি না, তা সময়ই বলবে।