ছবিঃ নিজস্ব
Bangla Jago Desk ,রাহুল চ্যাটার্জি : বুধবার রাজ্য ফুটবল নিয়ামক সংস্থার ১৩১ তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হল শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে। সভাতে গত আর্থিক বছরে সংস্থার আয় ব্যয়ের হিসেবের খতিয়ান তুলে ধরা হয়। গত এক বছরে আইএফএ এর কার্যকলাপের অডিও ভিজ্যুয়াল রিপোর্ট পেশ করা হয়। সারা বছর কীভাবে সংস্থা চলেছে তার খতিয়ান পেশ করেন সচিব অনির্বাণ দত্ত। নাম ঘোষণা করা হয় সম্প্রতি নির্বাচিত আইএফএর গভর্নিং বডির সদস্যদের। আইএফএর পদাধিকারীরা ছাড়াও সব ক্লাব এবং জেলা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। রেফারি সংস্থা এবং অফিস স্পোর্টস ফেডারেশনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
বৈঠকে বিনামূল্যে টিকিটের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানান সদস্যরা, এই প্রসঙ্গে আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেন, বাংলার ফুটবলকে বাচিয়ে রাখতে গেলে টিকিট কেটে খেলা দেখার প্রবনতা বাড়াতে হবে, নাহলে ম্যাচ পরিচালনার যে আর্থিক খরচ তা বহন করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি ক্লাব-এর প্রতিনিধিরা বলেন উওরে ১৭ টি আক্যাডেমী চলে সেখানে অনেক ফুটবলার, তাঁদের কলকাতায় খেলার সুযোগ করে দেওয়ার দাবি তোলেন তাঁরা। আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত জানান জেলা ভিত্তিক খেলার আয়োজন করা হয়, একই সঙ্গে জানান ক্লাবের সুবিধা আসুবিধা দেখেই সিধান্ত নেয় আইএফএ।
[আরও পড়ুন : Paris Olympics : হকিতে টিম ইন্ডিয়ার দাপট অব্যাহত! হকি দলের কাছ থেকে পদকের আশা]
বিগত কয়েক বছর ধরে বেশ আর্থিক টালমাটাল অবস্থা চলছিলো আইএফএর। সেই জায়গা থেকে প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আর্থিক ভাবে সছল হয়েছে রাজ্য ফুটবল নিয়ামক সংস্থা। রাজ্য সরকারি উদ্যোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও ক্রিড়া মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস এর সহযোগিতায় ও স্পন্সর পাওয়ায় আর্থিক ভাবে চাঙ্গা হয়েছে আইএফএ। স্পন্সর এর তালিকায় উল্লেখযোগ্য সাচি স্পোর্টস। রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় মুখ্যমন্ত্রী কে ধন্যবাদ জানান আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত। বিনামূল্যে টিকিট সংখ্যা বাড়ানোর প্রসঙ্গে আইএফএ চেয়ারম্যান স্পষ্ট জানান, আইএফএ এর তরফ থেকে আমন্ত্রিতদেরই বিনামূল্যে টিকিট দেওয়া হবে।
[ আরও পড়ুন : Rohan Bopanna : টেনিসকে বিদায় জানালেন ভারতীয় টেনিসের ‘আয়রন ম্যান’, অবসর ঘোষণা রোহন বোপান্নার]
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না তিন প্রধান শিবিরের কোন প্রতিনিধি, যদিও তাতে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ আইএফএ কর্তারা।কলকাতার বাইরের স্টেডিয়ামেও খেলা রাখতে হচ্ছে। তিনটে ক্লাবের সুবিধা মেনেই তাঁদের খেলা ফেলা হচ্ছে। তিন প্রধানকে বাদ দিয়ে বাংলার ফুটবলের কোনও অস্তিত্ব নেই জানান আইএফএ সচিব ।