ad
ad

Breaking News

East Bengal

নিজের ঘর গুছিয়েই তবেই আক্রমণে যাক ইস্টবেঙ্গল:ডগলাস ডি সিলভা, প্রাক্তন ফুটবলার

স্নায়ুর যুদ্ধ, আবেগের লড়াই। কে কখন জ্বলে উঠবে এটা কেউ হলফ করে বলতে পারে না।

Get your house in order and attack East Bengal: Douglas de Silva, former footballer

চিত্র - সংগৃহীত

Bangla Jago Desk : শনিবার আইএসএল-র ফিরতি ডার্বি ম্যাচ। দুই প্রধানের হয়ে একটা সময় বহু ডার্বি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থেকে আমারও মনে হয়েছে এই ম্যাচ নিয়ে কোনও ভবিষ্যৎবাণী করা মানেই ভুল করা। তাই আমার কাছে এই ম্যাচ সব সময়ই ফিফটি-ফিফটি।

ডার্বি ম্যাচের আগের ম্যাচের পারফরম্যান্সের সঙ্গে এই ম্যাচের তুলনা করাটাও বাতুলতা ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। মোহনবাগান ভাল খেলছে ঠিক কথাই, এবং বর্তমানে ওঁরা পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে, অন্য দিকে অস্কারের দল রয়েছে নীচের সারিতে। সুতরাং যদি কেউ ভেবে থাকেন, ইস্টবেঙ্গলকে সহজেই হারিয়ে ম্যাচে জিতে নেবেন, না সেটা মুর্খামি ছাড়া আর কিছু হবে না। কেননা এটা ডার্বি ম্যাচ। স্নায়ুর যুদ্ধ, আবেগের লড়াই। কে কখন জ্বলে উঠবে এটা কেউ হলফ করে বলতে পারে না।

প্রাক্তন ফুটবলার হিসাবে বলতে পারি, মোলিনার দল সব বিভাগেই ধারে-ভারে ইস্টবেঙ্গলের থেকে এগিয়ে রয়েছে। ওদের রিজার্ভ বেঞ্চেও যথেষ্ট ভাল। কেননা, একাধিক খেলোয়াড় রয়েছেন, যাঁরা যে কোনও সময় ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন। অপর দিকে ইস্টবেঙ্গল দলটা অস্কারের জমানায় পর পর দুটি ম্যাচে জিতে যখনই ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে, ঠিক তখনই চোটের কবলে পড়েছে একাধিক ফুটবলার। ফলে ছন্দটা অনেকটা নষ্ট যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রে।

সবচেয়ে বড় কথা ইস্টবেঙ্গলের রিজার্ভ বেঞ্চও খুব একটা শক্তিশালী নয়। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় ইস্টবেঙ্গলের উচিত আগে নিজের ঘর গুছিয়ে তবেই আক্রমণে যাওয়া। আমার মনে হয় এই ম্যাচ থেকে ইস্টবেঙ্গল যদি এক পয়েন্টও পায় তাহলে সেটা জয়েরই সমান। তাই অহেতুক ম্যাচ জেতার জন্য অলআউট ঝাঁপিয়ে কোনও লাভ হবে না।

কেননা, মোহনবাগান এই মুহূর্তে দারুণ ছন্দে রয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে গোল করার লোকেরও অভাব নেই। সেটা কিন্তু মাথায় রাখতে হবে ইস্টবেঙ্গল কোচকে। তবে আনোয়ার যদি একান্তই না খেলতে পারেন, সেটাও একটা বড় ধাক্কা ইস্টবেঙ্গলের কাছে। আনোয়ার যদি মাঠে না নামতে পারেন তাহলে ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠ থেকে শুরু করে ডিফেন্স লাইনআপকে সর্বত্র সজাগ থাকতে হবে। যাতে কোনওভাবেই ম্যাকলারেন, মনবীর, লিস্টনরা ভয়ঙ্কর হতে না পারে। এবং আগের ম্যাচগুলিতে যে ভুলগুলি হয়েছিল, তা যাতে এই ম্যাচে না হয়। তাহলে কিন্তু বিপদ বাড়বে। সব শেষে একটাই কথা বলছি, সেরা দল হোক না আর না হোক, ডার্বি ম্যাচে জিততে গেলে সব সময়ই নিজেদের ২০০ পার্সেন্ট দিয়ে লড়াই করতে হবে। এবং যাঁরা সেটা ৯০ মিনিট মাঠের মধ্যে করে দেখাতে পারবে, সেই দলই শেষ হাসি হাসবে।