চিত্র : সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: এখনও এক সপ্তাহ হয়নি ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়। দুবাইয়ের মাঠে এক কথায় নিউজিল্যান্ডকে ধরাশায়ী করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেতাব জয় করেছে ভারত। এরপরই ঘরোয়া ট্রফি বিশেষ করে (রঞ্জি ট্রফিতে) অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের ফিজ বাড়ানোর দাবি তুললেন প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটার ও অধিনায়ক সুনীল গাভাসকর।
সংবাদসংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে নিজের মত ব্যক্ত করে ৭৫ বছর বয়সী এই প্রাক্তন ক্রিকেটার জানান, ‘রঞ্জি ট্রফিতে যে সমস্ত ক্রিকেটাররা খেলেন, তাঁরা কিভাবে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে লড়াই করে ক্রিকেটকে ভালবেসে এই টুর্নামেন্টে অংশ নেন। এবং এই ক্ষেত্রে তাঁদের পরিবারের ভূমিকাও অস্বীকার করা যায় না। তাঁরা তাঁদের সন্তানদের ক্রিকেট খেলোয়াড় তৈরির জন্য এই কঠোর পরিশ্রম করে থাকেন।’
[আরও পড়ুন: আরও দীর্ঘ হচ্ছে সুনীতাদের মহাকাশবাস]
এরপর গাভাসকর আইপিএল-এ অর্থের প্রসঙ্গ তুলে এনে বলেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে না খেলেও আইপিএল-এ একজন অ্যানক্যাপড প্লেয়ার হিসাবে সুযোগ পেয়ে যে টাকা রোজগার করেন, সেই ক্রিকেটারের থেকে অনেক কম টাকা পান একজন রঞ্জি ট্রফি খেলা ক্রিকেটার।’
উদাহরণ দিয়ে সানি জানান, ‘ভারতের মধ্যে একমাত্র মু্ম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মতো ফিজ দেয় তাঁদের হয়ে রঞ্জি ট্রফি খেলা ক্রিকেটারদের। কিন্তু বাকিরা তা করে না। কাজেই এবার প্রত্যেক রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের উচিত একই পথ অনুসরণ করা। তাহলেই রঞ্জি খেলা ক্রিকেটাররা আর্থিকভাবে অনেক লাভবান হবেন।’
পাশাপাশি রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনগুলির প্রতি একরাশ ক্ষোভ-ও জানাতে ভুললেন না সানি। তিনি বলেন, ‘বিসিসিআই থেকে রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনগুলিকে মোটা টাকা দেওয়া হয় ভর্তুকি হিসাবে। কিন্তু আসল কথা হল, এত বিশাল পরিমাণ টাকা ক্রিকেট খেলার পরিকাঠামোর উন্নতি ও খেলোয়াড়দের আর্থিক উন্নয়নের জন্যই সেই রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার কর্তারা খরচ করতেই পারেন।
তাহলে ক্রিকেট প্রতি মানুষের আরও আগ্রহ বাড়বে। সত্যি কথা বলতে কি এখনও বেশ কিছু মানুষ আছেন যাঁরা ক্রিকেট টাকে অন্তর দিয়ে ভালবাসেন। খেলোয়াড়দের বেতন বৃদ্ধি হলে আর ভবিষ্যত প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা ক্রিকেট ছেড়ে অন্য খেলার দিকে আগ্রহ দেখাবে না। ক্রিকেটের ক্ষেত্রে যা ভালই হবে।’
উল্লেখ্য, এখন রঞ্জি ট্রফিতে খেলা মোটামুটি অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা দিনপিছু ৬০ হাজার টাকা পান। যদি তাঁরা চারটি ম্যাচ খেলতে পারেন তাহলে তাঁরা পাবেন মোট দু লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। আর যদি সব ম্যাচ খেলে ফাইনাল ম্যাচে খেলেন তাহলে পাবেন ২৫ লক্ষ টাকা। তাছাড়া সাদা বলের দুই ফর্ম্যাটের ক্রিকেট খেলতে পারেন, তাহলেও মোটা টাকা পাবেন।