চিত্রঃ নিজস্ব গ্রাফিক্স
Bangla Jago Desk: গত রবিবার মুম্বইয়ের ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে অধরা বিশ্বকাপ ট্রফি জয় করেছে টিম ইন্ডিয়ার প্রমীলা বাহিনী। হরমনপ্রীতদের এই দলে অন্যতম সদস্য ছিলেন ডিএসপি দীপ্তি শর্মা। দীপ্তির মত একই পদে কর্মরত ভারতীয় পুরুষ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য হায়দরাবাদের মহম্মদ সিরাজও। তবে সিরাজ যেমন মাঠে ও মাঠের বাইরে তাঁর প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ‘লড়কে লেঙ্গে’ মনোভাব ব্যক্ত করেন দীপ্তি সে পথে হাঁটেননি। সেই জন্য দীপ্তি অন্যদের থেকে কিছুটা হলেও আলাদা।
উত্তর প্রদেশের আগ্রার ক্রিকেটার দীপ্তি। ২৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের এটাই জাতীয় দলের হয়ে প্রথম অংশগ্রহণ নয়। এর আগেও তিনি দেশের জার্সিতে বিশ্বকাপ খেলেছেন। সালটা ছিল ২০১৭। কিন্তু সেবার ট্রফি জয়ের স্বাদ পূরণ হয়নি দীপ্তির। ফলে প্রতি পদে তাঁকে শুনতে হয়েছে নানা সমালোচনা। একই ঘটনা ঘটেছিল ২০০৩ সালের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হেরে যাওয়ার পরও। তবুও আশা ছাড়েননি দীপ্তি। তার পর থেকে দীপ্তি অপেক্ষায় ছিলেন যাবতীয় সমালোচনার জবাব দেওয়ার জন্য।
দীপ্তি পেরেছেন। ২০২৫ সালে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে বিশ্বকাপ জয় করে। এবং তাঁর পারফরম্যান্স যেন মনে করিয়ে দিয়েছে ২০১১ সালে যুবরাজ সিংয়ের সেই অনবদ্য পারফরম্যান্সের ছবিকে।
ব্যাট হাতে ৫৮ রানের ঝাঁ চকচকে ইনিংসের পর, বল হাতে একাই পাঁচ উইকেট ঝুলিতে পোরেন তিনি। তাঁর বোলিংয়ের দাপটেই ভেঙে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন আপের মেরুদণ্ড। যার ফলেই ৫২ রানে ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ ট্রফি জয় করে ভারতীয় মহিলা দল।
এরপর ম্যাচ শেষে দীপ্তি বলেন, ‘আমি সব সময়ই ক্রিকেটটাকে দারুণভাবে উপভোগ করি। আমি যেমন ব্যাটিং করি, ঠিক তেমনই বোলিং করি। কেননা আমি একজন অলরাউন্ডার। দেশের স্বার্থে এইরকম একটা টুর্নামেন্টে নিজের সেরাটা দিতে পারার আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’