চিত্র : সংগৃহীত
Bangla Jago Desk : প্রত্যাশামতোই রঞ্জি ট্রফির বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট পেল বাংলা। বাগে পেয়েও বোলারদের ধারাবাহিকতার অভাবেই তিন পয়েন্ট দখল সম্ভব হল না অনুষ্টুপ মজুমদারের দলের। উত্তরপ্রদেশ ম্যাচে জেতার সম্ভাবনা থাকলেও শেষমেশ বাংলা ফিরেছিল ৩ পয়েন্ট নিয়ে। বিহার ম্যাচ বৃষ্টির কারণে ভেস্তে যায়। কেরল ম্যাচেও বাংলার পয়েন্ট নষ্ট হল, যার ফল ভুগতে হতে পারে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার ক্ষেত্রে।
[ আরও পড়ুন : শীতকাল এলেই চুলে নানা রকমের সমস্যা? রইল সমাধান ]
সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠে প্রথম দিন কোনও খেলাই হয়নি। দ্বিতীয় দিন হয় মাত্র ১৫.১ ওভার। সেদিন কেরলের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৫১। সোমবার তৃতীয় দিনের শেষে কেরলের স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ১০২ ওভারে ৭ উইকেটে ২৬৭ রানে। ৩৩ ওভারে ৮৩ রানে ছয় উইকেট হারিয়েছিল কেরল। সেখান থেকে আজ ১২০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৫৬ তুলে সচিন বেবির দল ইনিংস ডিক্লেয়ার করে। দ্বিতীয় দিনই বোঝা গিয়েছিল বাংলার তিন পয়েন্ট জয়ের স্বপ্ন শেষ। মঙ্গলবার সেটাই হল। সাতে নামা জলজ সাক্সেনা ৮৪ রান করেন, আট নম্বরে ব্যাট করতে নামা সলমন নিজার অপরাজিত থাকলেন ৯৫ রানে। নয়ে নেমে উইকেটকিপার মহম্মদ আজহারউদ্দিন ৯৭ বলে ৮৪ করেন। ঈশান পোড়েল ৬টি মেডেন-সহ ৩০ ওভারে ১০৩ রান দিয়ে নেন ৬ উইকেট। মহম্মদ কাইফ, প্রদীপ্ত প্রামাণিক ও সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল ১টি করে উইকেট পেলেন।
[ আরও পড়ুন : কেন্দ্রের শর্ত মানবে না বাংলা,বাড়ি নির্মাণ-শস্যবীমায় মানবিক রাজ্য ]
জবাবে খেলতে নেমে বাংলা ৬৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮১ রান তোলার পরই খেলায় যবনিকা পতন হয়। সাতটি চার ও ১টি ছয়ের সাহায্যে অভিষেক ম্যাচে ওপেনার শুভম দে ১১৩ বলে ৬৭ রান করলেন। অপর ওপেনার সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ১০২ বলে ৫৭ রান করেন, মেরেছেন সাতটি চার। অভিলীন ঘোষ ৪ রানের বেশি করতে পারেননি। সুদীপ ঘরামি ৯১ বলে ৩১ ও অধিনায়ক অনুষ্টুপ ৬৯ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। আদিত্য সারওয়াতে ২টি এবং জলজ সাক্সেনা ১টি উইকেট পেয়েছেন।
এলিট গ্রুপ সি-তে হরিয়ানা ৩ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে শীর্ষে। কেরল ৩ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে দুইয়ে। কর্ণাটক বিহারকে হারানোর ফলে ৩ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে রয়েছে। কেরল এগিয়ে নেট রান রেটে। বাংলার ঝুলিতে ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট। বাংলার পরবর্তী ম্যাচ কর্ণাটকের বিরুদ্ধে। এই খেলাটি বেঙ্গালুরুতে শুরু ৬ নভেম্বর থেকে।