চিত্রঃ নিজস্ব গ্রাফিক্স
Bangla Jago Desk: চলতি বছরের ক্লাব বিশ্বকাপে যেন ফুল ঝড়াচ্ছে নেইমার-ভিনিসিয়াসদের দেশের ক্লাবগুলি। তাদের দাপটে যেন ক্রমশ পথ হারাতে বসেছে ইউরোপের সেরা দলগুলি। গত পরশু রাতে যার শুরুটা করেছিল বেটাফোগো। সদ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী পিএসজি-কে হারিয়ে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিল তারা। আর সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবার জয় তুলে নিল ব্রাজিলের অপর ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গো। তারা হল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সেরা দল চেলসিকে। খেলার ফল ৩-১। ( Flamengo)
শুক্রবার ফিলাডেলফিয়াতে এই ম্যাচের শুরুতেই গোল পেয়ে গিয়েছিল এঞ্জো মার্সেকার দল। খেলার বয়স তখন মাত্র ১৩ মিনিট। ব্লুজদের হয়ে স্কোরশিটে নাম তোলেন পেড্রো নেটো। এই গোলের ক্ষেত্রে ফ্ল্যামেঙ্গোর রক্ষণভাগের ভুলকে কাজে লাগিয়ে গোল তুলে নেয় মার্সেকার দল। এরপর শত চেষ্টা করেও এই অর্ধে আর কোনওপক্ষই গোলের দেখা পায়নি। ( Flamengo)
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলের সন্ধানে ঝাঁপিয়ে পড়ে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি। তবে নিজেদের গোল ধরে রাখতে বদ্ধ পরিকর ছিল চেলসিও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা আর গোল ধরে রাখতে পারল না। ৬১ মিনিট অবধি এগিয়ে থেকে ৬২ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল হজম করে ব্লুজরা। ব্রুনো হেনরিকের গোলে প্রথম সমতায় ফেরে ব্রাজিলের ক্লাবটি। ( Flamengo)
ফ্ল্যামিঙ্গো তাদের দ্বিতীয় গোল তুলে নেয় প্রথম গোলের মাত্র ৩ মিনিট পরেই। কর্নার থেকে হেনরিকের বাড়ানো বল থেকে দানিলো ব্যবধান বাড়িয়ে নেন।
[আরও পড়ুনঃ Sukanta Majumdar: বাংলার আইনের সঙ্গে যৌনকর্মীদের তুলনা! বিতর্কে সুকান্ত, তৃণমূলের ক্ষোভে উত্তাল রাজনীতি]
পিছিয়ে পড়ে চেলসি আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে যখন গোল শোধের মরিয়া চেষ্টা শুরু করবে, ঠিক সেই সময়ই ঘটল বিপত্তি। ম্যাচের বয়স তখন ৬৮ মিনিট। লাল কার্ড দেখে দলের বিপদ বাড়িয়ে মাঠ ছাড়লেন নিকোলাস জ্যাকসন। ফলে ১০ জনে হয়ে যায় এঞ্জো মার্সেকার দল। আর এই সুযোগকেই পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে ইংল্যান্ডের ক্লাবটির ওপর আরও আক্রমণ বাড়াতে থাকেন ফ্ল্যামিঙ্গোর ফুটবলাররা। অবশেষে তার সুফলও তাঁরা পেয়ে যান ম্যাচের ৮৩ মিনিটে। ফ্ল্যামিঙ্গোর হয়ে চেলসির কফিনে শেষ পেঁরেকটি পুঁতে দেন ওয়ালাসে ইয়ান।
[লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/Banglajagotvofficial/]
এই ম্যাচ জেতার সঙ্গে সঙ্গে এক নতুন নজির গড়ল ফ্ল্যামেঙ্গো। ৩৩ বছর আগের রেকর্ড ভেঙে দিল তারা। দীর্ঘ বছর প্রতীক্ষার পর এই প্রথম ইউরোপিয়ান কোনও ক্লাবের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত জয় হাসিল করে নিল লাতিন আমেরিকার কোনও ফুটবল দল। সেবার ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে এই নজির গড়েছিল সাওপাওলো। ২-১ গোলের ব্যবধানে তারা সেবার পরাজিত করেছিল ইউরোপের অন্যতম সেরা ক্লব বার্সেলোনাকে।
এই টুর্নামেন্টের অপর ম্যাচে হাফডজন গোলে জয় তুলে নিল বেনফিকা। ৬-০ গোলের ব্যবধানে তারা পরাজিত করল নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড সিটিকে। ম্যাচে জোড়া গোল করলেন আর্জেন্টিনার প্রাক্তন ফুটবলার অ্যাঞ্জেল দি মারিয়া। জাতীয় দল থেকে অবসর নিলেও ক্লাব ফুটবলের আসরে এখনও স্বমহিমায় তিনি। শুক্রবার ম্যাচেও একদা মেসির সতীর্থ প্রমাণ করে দিলেন, তিনি ফুরিয়ে যাননি। জোড়া গোলের সঙ্গে সঙ্গে এবারের ক্লাব বিশ্বকাপে ২ ম্যাচে মোট তিনটি গোল করে ফেললেন তিনি। ( Flamengo)
দি মারিয়া দুটি গোলই করেন পেনাল্টি থেকে। তাঁর পাশাপাশি বেনফিকার জার্সি গায়ে জোড়া গোল করলেন লিয়ানড্রো বারেইরিও। বেনফিকার হয়ে বাকি দুটি গোল করেন রিয়েনাটো সানচেজ ও ভানগিলিস।
এদিকে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় তুলে নিল বায়ার্ন মিউনিখ। প্রথম ম্যাচে অকল্যান্ড সিটিকে ১০-০ গোলে পরাজিত করার পর জার্মান ক্লাবটি দ্বিতীয় ম্যাচে পরাজিত করল আর্জেন্টিনার ক্লাব বোকা জুনিয়ার্সকে। খেলার ফল ২-১।
ম্যাচের ১৮ মিনিটে জার্মান ক্লাবটিকে প্রথম এগিয়ে দেন অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার হ্যারি কেইন। এরপর প্রথমার্ধে আর কোনও পক্ষই কোন গোল করতে পারেনি।
আর্জেন্টিনার ক্লাবটি সমতায় ফেরে ম্যাচের ৬৬ মিনিটে। বোকা জুনির্য়াসের হয়ে স্কোরশিটে নাম তোলেন মিগুয়েল। সমতায় ফিরলেও আর্জেন্টিনার ক্লাবটি শেষ রক্ষা করতে পারলেন না। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ শেষ হওয়ার মাত্র ৬ মিনিট আগে জার্মান ক্লাবটির হয়ে জয় নিশ্চিত করে দেন মিচেল ওলিসে।