চিত্রঃ সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: চলতি মরসুমে রঞ্জি ট্রফিতে শুরুটা দারুণভাবে করেছিল লক্ষ্মীরতনের প্রশিক্ষণাধনী বাংলা দল। ঘরের মাঠে প্রথমে উত্তরাখণ্ড এবং তারপর দ্বিতীয় ম্যাচে গুজরাটকে হারিয়েছিল বাংলা। তখন অনেকেই আশা করেছিলেন তৃতীয় ম্যাচেও ত্রিপুরার বিপক্ষে জয়ের মুখ দেখতে পাবেন অভিমন্যু ইশ্বরণ, মহম্মদ শামিরা। কিন্তু তা আর হল না। ত্রিপুরার ঘরের মাঠ মহারাজা বীর বিক্রম স্টেডিয়ামে তৃতীয় ম্যাচেই বাংলার জয়রথকে থামিয়ে দিলেন হনুমা বিহারী, বিক্রমজিৎ দেবনাথরা।
ম্যাচে প্রথম ব্যাট করে বাংলার হয়ে দুরন্ত ব্যাটিং করেছিলেন সুদীপ ঘরামি ও শিকর গান্ধি। সুদীপ শতরান করলেও মাত্র ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়েছিল শাকিরের। তারপর বাংলার হয়ে বড় রান করেন শাহবাজ থেকে শুরু করে রাহুল প্রসাদরা। যার সুবাদেই ৩৩৬ রান করে ইনিংস শেষ করে বাংলা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ত্রিপুরা শুরুটা ভাল না করলেও হনুমা বিহারী ও মণিশঙ্করের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে ত্রিপুরার প্রথম ইনিংস শেষ হয় ম্যাচের চতুর্থ দিনে ৩৮৫ রানে। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলার সংগ্রহ ৩ উইকেটের বিনিময়ে ৯০ রান। ফলে এই ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল বাংলাকে।
প্রসঙ্গত, এই ম্যাচ থেকে বাংলা পুরো পয়েন্ট পেতেই পারত, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি ফিল্ডারদের অসংখ্যা ক্যাচ মিস। ঠিক তেমনই বাংলার ঘরে পুরো পয়েন্ট না আসার অপর কারণ হল ত্রিপুরার বিপক্ষে বাংলার অন্যতম পেসার মহম্মদ শামির কোনও উইকেট না পাওয়া। আগের দুই ম্যাচে শামি মোট ১৫ উইকেট পেলেও ত্রিপুরার বিপক্ষে তাঁর উইকেটের ঝুলি শূন্যই থেকে গেল। এছাড়াও অনেকে মনে করছেন ব্যাট হাতে অভিষেক, অনুষ্টুপ, সুমন্তদের রান না পাওয়াটাও একটা ফ্যাক্টর। এছাড়া ব্যাটিং লাইন আপে অভিমন্যু ইশ্বরণ না থাকাও বাংলার কাছে বড় ধাক্কা। বল হাতে বাংলার হয়ে মহম্মদ কাইফ ৪টি এবং ইষাণ পোড়েল ৩টি এবং রাহুল প্রসাদ ২টি উইকেট ঝুলিতে পোড়েন।