ad
ad

Breaking News

Atanu Bhattacharjee

‘শান-এ মহমেডান’ সম্মান সাদা-কালো সমর্থকদের উৎসর্গ করতে চান অতনু

নিজের খেলোয়াড় জীবনের সেই স্মৃতি আওড়াতে আওড়াতে অতনু যেন ফিরে যাচ্ছিলেন কলকাতা ফুটবলে নিজের ফেলা আসা সোনায় মোড়া দিনগুলিতে।

Atanu wants to dedicate 'Shaan-e-Mohammedan' award to black and white supporters

চিত্র : সংগৃহীত

Bangla Jago Desk: সুদীপ্ত ভট্টাচার্য: আটের দশকের একেবারে গোড়ার দিকের কথা। মহমেডান দলে সাবির, মইদুল, প্রতাপ ঘোষদের সঙ্গে মোহনবাগান থেকে যোগ দিয়েছিলেন নরেন্দ্রপুর থেকে উঠে আসা তরুণ গোলরক্ষক অতনু ভট্টাচার্য। ছোটবেলার আইডল অভিজ্ঞ গোলরক্ষক প্রতাপ ঘোষ তখন রেড রোডের ধারের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের এক নম্বর গোলরক্ষক।

কিন্তু কিছুদিন পরে যেন সব ওলট-পালট হয়ে গেল। পাড়াতুতো দাদা প্রতাপকে সরিয়ে মহমেডান দলের বিশ্বস্ত গোলরক্ষক হয়ে উঠেছিলেন সেদিনের তরুণ সেই অতনু। তারপর তো বাকিটা ইতিহাস!

ধীরে ধীরে সাদা-কালো শিবিরের তিন কাঠির নীচে তাঁর বিশ্বস্ত হাত দলকে যেমন ভরসা দিয়েছিল, ঠিক তেমনি বাঁচিয়েছিল বহু ম্যাচ। ধীরে ধীরে অতনু হয়ে উঠেছিলেন মহমেডান কর্তা থেকে শুরু করে সমর্থকদের ভরসার প্রতীক। চলতি বছরের ‘শান-এ মহমেডান’ সম্মান আব্দুল খালেকের যৌথভাবে সঙ্গে তাঁকেও দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন মহমেডান কর্তারা। যা শুনে অভিভূত মহমেডান ক্লাবের প্রাক্তন এই গোলরক্ষক।

এই প্রসঙ্গে অতনুর কাছে জানতে চাইলে অতনু প্রথমেই বলেন, ‘শান-এ মহমেডান’ সম্মানের জন্য মহমেডান কর্তারা যে আমার নাম বিবেচনা করেছেন, তার জন্য আমি তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাই। আসলে মহমেডান ক্লাবের প্রতি আমার যেন একটা আলাদা ভালবাসা রয়েছে। ১৯৮৩ সালে মোহনবাগান থেকে মহমেডানে এসেছিলাম সাবির আলি ও মইদুল ইসলামের হাত ধরে।

তারপর এই ক্লাবের জার্সি পরে প্রথম দিকে সুযোগ পাইনি, কিন্তু ধীরে ধীরে দলের এক নম্বর গোলরক্ষক হয়ে উঠেছিলাম। সেই দিনগুলোর কথা ভাবলে খুব ভাল লাগে। কত স্মৃতি কত ঘটনা। কত কিছু! এখনও যেন চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেই সব স্মৃতির কোলাজগুলি।

[আরও পড়ুন: এবার খলনায়ক কিং খান, স্ক্রিন শেয়ার করবেন আল্লু অর্জুনের সঙ্গে?]

মহমেডানের হয়ে পিয়ারলেস ট্রফিতে সাফল্য, তারপর বাংলাদেশে সাফল্য, দুবার ফেডারেশন কাপ জয় সহ অনেক ঘটনা আজ মনের মণিকোঠায় উঁকি মারে। সত্যি এই অনুভূতির স্বাদ কারোর সঙ্গে ভাগ করা যাবে না। দেশের পাশাপাশি এশিয়ান অলস্টার দলেও সুযোগ পেয়েছি এই মহমেডান ক্লাব থেকে ফুটবল খেলেই। কাজেই মহমেডান আমার হৃদয়ে থাকবে আজীবন।’

নিজের খেলোয়াড় জীবনের সেই স্মৃতি আওড়াতে আওড়াতে অতনু যেন ফিরে যাচ্ছিলেন কলকাতা ফুটবলে নিজের ফেলা আসা সোনায় মোড়া দিনগুলিতে। এরপর অতনু বলেন  ‘আমাদের সময়ে ফুটবলারদের মধ্যে কত ভাল সম্পর্ক ছিল। কর্তারাও ছিলেন খেলোয়াড়দের মনের মানুষ।

আর সমর্থকরা তো আমাদের হার্টথ্রব। ওদের কথা ভেবেই আমরা মাঠে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করতাম। আজ আমার বলতে দ্বিধা নেই, মহমেডান সমর্থকদের কাছে যে ভালবাসা আমি পেয়েছি তা আমার খেলোয়াড় জীবনের অন্যতম সেরা পুরস্কার। তাই ক্লাবের দেওয়া এই ‘শান-এ মহমেডান’ সম্মান আমি সাদা-কালো সমর্থকদেরই উৎসর্গ করতে চাই।’