Bangla Jago Desk: এশিয়া কাপ ২০২৩-এর সুপার ফোর পর্ব।পাকিস্তানকে ২২৮ রানে হারানোর পর শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। শ্রীলঙ্কার বোলিংয়ের সামনে ভারতের ব্যাটিং দুর্বলতা দেখা গেলেও, বল দিয়ে বাজিমাত করলো ভারত। মাত্র ২১৩ রান ডিফেন্ড করতে নেমে শ্রীলঙ্কাকে ৪১ রানে নাস্তানাবুদ করলো রোহিতবাহিনী। শ্রীলঙ্কার মাটিতেই শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে এশিয়া কাপ ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করলো ভারত।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল যেভাবে শুরু করেছিলেন, তাতে দেখে মনে হচ্ছিলোও ৩০০ রানের গন্ডি পার করবে ভারত। কিন্তু গিল ১৯ রান করে আউট হতে ম্যাচের প্রতিচ্ছবি বদলে যায়।সকলে একের এক উইকেট হারালেও, ম্যাচের হাল ধরে রেখেছিলেন রোহিত শর্মা। অর্ধশতরান আসে তার ব্যাট থেকে। সম্প্রতি এশিয়াকাপে অর্ধশতরানের হ্যাটট্রিক করেন তিনি। ঈশান কিষাণ এবং কেএল রাহুল কিছুটা হাল ধরেছিলেন। কিন্তু বিরাট কোহলি , হার্দিক পান্ডিয়া থেকে শুরু করে রবীন্দ্র জাদেজা সকলেই ব্যর্থ হন। ২০ বছর বয়সী দুনিথ ভেলালেজের স্পিন সামলাতে নামে পেরে ধসে যায় ভারতের টপ অর্ডার এবং মিডিল অর্ডার। প্রথম ছয়ের মধ্যে ৫ জনকে প্যাভিলিয়নে ফেরান ভেলালেজ। ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই ৫ উইকেট শিকার করেন তিনি। অবশেষে অক্ষর প্যাটেলের ২৬ রানের সহযোগিতায় কিছুটা হলেও সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছায় ভারত।
শ্রীলঙ্কাকে জিততে হলে প্রয়োজন ছিল ৫০ ওভারে ২১৪ রান। ওপেনিংয়ে আসেন পাথুম নিশাঙ্কা এবং দিমুথ করুণারত্নে। ম্যাচের তৃতীয় ওভারেই একটি ধারালো সুইং বলের সাহায্যে নিশাঙ্কাকে ফেরত পাঠান জসপ্রীত বুমরাহ । তার কিছুক্ষণ পরে কুশল মেন্ডিসকেও প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান বুমরাহ। পরের ওভারেই করুণারত্নেকে আউট করেন মহম্মদ সিরাজ । অল্পরানেই টপ অর্ডারকে ধসিয়ে দেয় ভারতীয় পেসাররা।
এরপর সাদিরা সামারাবিক্রমা এবং চরিত আশালঙ্কা কিছুটা ভরসা দেখালেও, কুলদীপ যাদবের স্পিনের জালে পা দিয়ে বসেন দুজনেই। পরবর্তী জুটি হিসাবে ম্যাচকে প্রায় জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ধনঞ্জয় ডি সিলভা এবং দুনিথ ভেলালেজ। খনিকের জন্য হলেও, চিন্তার ছাপ দেখা গিয়েছিল ভারতীয় দলের মুখে। এরপর সিলভা ৪১ করে জাদেজার বলে আউট হতে, ম্যাচটি ফের ঘোরে ভারতের দিকে। অবশেষে বাকি কাজটিসম্পূর্ণ করেন কুলদীপ। আজও ৪ উইকেট নিয়ে দলকে জয় এনে দিয়েছেন তিনি। এই জয়ের পাশাপাশি এশিয়া কাপ ২০২৩-এর প্রথম দল হিসাবে ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করেছে ব্লু-ব্রিগেড।