চিত্র : সংগৃহীত
Bangla Jago Desk : সৌর জগতের পঞ্চম তথা বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতির অন্যতম উপগ্রহ ইউরোপায় কি সত্যিই প্রাণের স্পন্দন বা তেমন কোনও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা রয়েছে? এইরকম আরও হাজারো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মহাকাশে পাড়ি দিল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-র মহাকাশযান। এই অভিযানের পোশাকি নাম দেয়া হয়েছে, ইউরোপা ক্লাইপার মিশন। ১৪ অক্টোবর ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে শুরু হয়েছে এই অভিযান। এই অভিযানে নাসা-র সঙ্গে যৌথভাবে অংশগ্রহণ করছে স্পেসএক্স। কেনেডি স্পেস সেন্টারের ৩৯এ লঞ্চ কমপ্লেক্স থেকে একটি স্পেসএক্স ফ্যালকন হেভি রকেট মহাকাশের উদ্দেশে তার দীর্ঘ যাত্রা শুরু করেছে।
৫.২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মিশনের লক্ষ্য, ইউরোপার ১০ মাইল পুরু বরফের আবরণের নীচের মহাসমুদ্রে প্রাণের স্পন্দন আছে কিনা। নাসার সায়েন্স মিশন ডিরেক্টরেটের ডেপুটি অ্যাসোসিয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর স্যান্ড্রা কোনোলি বলেছেন, ইউরোপা ক্লিপার মিশনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ বৃহস্পতির প্রবল তেজস্ক্রিয়তা সামলে ইউরোপার পরিবেশ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা।
[ আরও পড়ুন : Natarajan Chandrasekaran: পাঁচ বছরে ৫ লক্ষ উৎপাদন কর্মসংস্থান তৈরি করবে টাটা গ্রুপ: এন চন্দ্রশেখরনের ]
নাসার পাঠানো মহাকাশযানটি বৃহস্পতির এই উপগ্রহের অসংখ্য হাই-রেজেলিউশনের ছবি তুলবে। ইউরোপার বরফে ঢাকা ভূভাগের মানচিত্র নির্মাণ করবে। সবথেকে বড় কথা হল, এই উপগ্রহ বসবাস করার জন্য কতটা উপযোগী, তা খতিয়ে দেখবে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, পৃথিবীর পর ইউরোপাই হলো আমাদের সৌর জগতের সেই স্থান, যেখানে প্রাণের স্পন্দন থাকার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি।
বিজ্ঞানীদের অনুমান, ইউরোপার বরফে ঢাকা বহির্ভাগের নীচে রয়েছে এক বিশাল, বিরাট সমুদ্র। তাতে যে পরিমাণ জল রয়েছে, তা পৃথিবীর মোট সামুদ্রিক জলভাগের অন্তত দ্বিগুণ! ১২৫০০ পাউন্ডেরও বেশি ভারী ইউরোপা ক্লিপার স্পেসক্রাফটে বসানো হয়েছে ন’টি বিশেষ যন্ত্র যা ইউরোপার মহাসাগরের গভীরতা, উপরিতলের যৌগ মিশ্রণ, চৌম্বক ক্ষেত্র নিয়ে গবেষণা করবে।
[ আরও পড়ুন : Pakistan: লাহোরে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ! পড়ুয়া ও পুলিশের সংঘর্ষে আহত ২৮ ]
স্পেসক্রাফটটি ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মঙ্গল এবং ডিসেম্বর মাসে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বল কাজে লাগিয়ে বৃহস্পতির উদ্দেশে পাড়ি দেবে। সাড়ে পাঁচ বছর ধরে ১৮০ কোটি মাইল পাড়ি দিয়ে ২০৩০ সালের এপ্রিল মাসে বৃহস্পতির কক্ষপথে ঢুকে পড়বে সে। এরপর চার বছর ধরে ইউরোপার পাশ দিয়ে ৪৯ বার উড়ে যাবে। এই মিশনের একজন সিনিয়র বিজ্ঞানী টম ম্যাকর্ড জানিয়েছেন, ইউরোপার উদ্দেশে মহাকাশযান পাঠানোর পরিকল্পনা চলছে ১৯৯৫ সাল থেকে, অবশেষে তা বাস্তবায়িত হল।