ad
ad

Breaking News

Global temperature

জাতিসংঘের সতর্কতা: বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়বে ৩.১ ডিগ্রি

এই শতাব্দী শেষে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে না পারলে এমন হতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

Global temperature may increase by 3.1 degrees Celsius by the end of the century

Bangla Jago Desk: এই শতাব্দী শেষে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে না পারলে এমন হতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। পরিবেশ কর্মসূচির একটি বার্ষিক প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছে তারা। গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ রোধে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে। এ ছাড়া বলা হয়েছে, বিশ্বের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ঢেলে সাজানোর এবং আন্তর্জাতিক সহায়তা ও বেসরকারি বিনিয়োগে উৎসাহ দেওয়ার কথা।

[আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী সঙ্গে জার্মানির বিদেশমন্ত্রীর আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা

শুক্রবার রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ ১.৩ শতাংশ বেড়েছে। এই বৃদ্ধি রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে উন্নত দেশগুলিকে। বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের ৭৭ শতাংশের জন্য উন্নত দেশগুলির জোট জি-২০-কে দায়ী করেছেন প্রতিবেদনটির প্রধান বৈজ্ঞানিক সম্পাদক অ্যান ওলহফ। তিনি বলেন, আমরা যদি ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে অগ্রগতির দিকে তাকাই, বিশেষ করে জি-২০ সদস্য দেশগুলির দিকে, তারা ২০৩০ সালের জন্য বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খুব বেশি অগ্রগতি করতে পারেনি।

জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ রোধে বর্তমানে যেসব নীতি বা বিধি রয়েছে, সেগুলির আওতায় বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা সম্ভব নয়। যদি তা সম্ভব হয়ও, তবু ২১০০ সালে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২.৬ থেকে ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।

বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ সেলসিয়াসের (২.৭ ফারেনহাইট) মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে ২০১৫ সালে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল রাষ্ট্রগুলি। এটি প্যারিস চুক্তি নামে পরিচিত। জাতিসংঘের বার্ষিক ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে অবশ্যই ৪২ শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ রোধ করতে হবে। আর ২০৩৫ সালের মধ্যে এই লক্ষ্যমাত্রা হতে হবে ৫৭ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক বক্তব্যে বলেন, কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়েছি আমরা। বিশ্বনেতারা হয় নির্গমনের ব্যবধান পূরণ করবেন, অন্যথায় আমরা জলবায়ু বিপর্যয়ের মধ্যে ডুবে যাব।

[আরও পড়ুনঃ জমা জলের সমস্যা নিরসনে জোর, স্কাইওয়াকের কাজ দ্রুত এগোচ্ছে