ভারতের বিভিন্ন রুটে এখনো চলে বিভিন্ন রয়্যাল ট্রেন। ব্রিটিশ আমলের এসব রেল রুটে চলা ট্রেনে এখনো ভিনটেজ লোকোমোটিভ ইঞ্জিন ও কোচ ব্যবহার করা হয়। বেশ একটা হারিয়ে যাওয়া, ফেলে আসা সময়ের স্বাদ পান পর্যটকরা।
ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভুক্ত দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেন। এই ট্রেনের পোশাকি নাম দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। ন্যারো গজ ট্রেনে চেপে আঁকাবাঁকা রাস্তা পেরিয়ে দার্জিলিংয়ের অসামান্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। ভারতের সবচেয়ে উঁচুতে থাকা রেলস্টেশন ঘুম পড়ে এই রুটেই
কালকা শিমলা রেলওয়ে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভুক্ত। মাউন্টেন রেলের অংশ এই রুট। ১০২টি সুড়ঙ্গ, ৮৬৪টি সেতু পেরিয়ে চলে এই ন্যারো গজ ট্রেন। এটিও শিমলার টয় ট্রেন নামে পরিচিত
তামিলনাড়ুর মেত্তুপালায়ম থেকে উটি পর্যন্ত চলে নীলগিরি মাউন্টেন রেল। পশ্চিমঘাট পর্বতমালার সৌন্দর্য ও চা বাগানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
জয়পুর, উদয়পুর, যোধপুর, জয়সলমেঢ়, রনথম্বোর, দিল্লি ও আগ্রার মধ্যে চলাচল করে প্যালেস অন হুইলস নামে লাক্সারি হেরিটেজ ট্রেন। ট্রেনের প্রতিটি কামরায় রয়েছে রাজকীয় রাজপুত ঘরানার সৌন্দর্য
১৮৫৫ সাল থেকে চলা বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো ট্রেন ইঞ্জিনের সাহায্যে চলে ফেয়ারি কুইন এক্সপ্রেস নামে হেরিটেজ ট্রেন।
মহারাষ্ট্রর নেরাল থেকে পাহাড়ি পর্যটন কেন্দ্র মাথেরন পর্যন্ত চলে ন্যারো গজ ট্রেন মাথেরন হিল রেলওয়ে। এখানে কোনো গাড়ি চলাচল করে না। পশ্চিমঘাট পর্বতমালার সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়