১) বিশ্বের অন্যতম রোমান্টিক শহর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে আইফেল টাওয়ার। সুউচ্চ আইফেল টাওয়ার গোটা বিশ্বে আইকনিক স্থাপত্য হিসাবে পরিচিত। রট আয়রনে নির্মিত আইফেল টাওয়ারের উচ্চতা প্রতি বছর গরমে কমপক্ষে ৬ ইঞ্চি বেড়ে যায়।
২) স্থপতী গুস্তাভ আইফেলের নকশা তৈরি করেন। তাঁর নামেই স্থাপত্যর নাম রাখা হয় আইফেল টাওয়ার। ১৮৮৯ সালে টাওয়ারের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। গোটা বিশ্বেই অসাধারণ শিল্পকর্ম ও স্থাপত্যর নিদর্শন হিসাবে বিবেচিত হয় আইফেল টাওয়ার। প্রাথমিক ভাবে ফরাসি বিপ্লবের শতবর্ষ ও ১৮৮৯ সালের ওয়ার্ল্ড ফেয়ার উপলক্ষে তোরণদ্বার হিসাবে নির্মাণ করা হয় আইফেল টাওয়ার।
৩) অসাধারণ শিল্পকর্ম ও স্থাপত্য শৈলী চাক্ষুষ করতে প্রতি বছর কোটি কোটি পর্যটক ও দর্শনার্থী আইফেল টাওয়ার দর্শন করতে প্যারিসে আসেন। ১৮৮৯ সালের ৩১ মার্চ প্যারিসে বসেছিল ওয়ার্ল্ড ফেয়ারের আসর। তখন নির্মাণ করা হয় আইফেল টাওয়ার। প্রথমে এর নাম ছিল '৩০০ মিটার টাওয়ার'। ১৯৩১ সাল পর্যন্ত উচ্চতা ছিল ৩১২ মিটার। তখনো পর্যন্ত এটাই ছিল বিশ্বের সর্বোচ্চ টাওয়ার। তবে উচ্চতার নিরিখে পরে আইফেল টাওয়ারকে হারিয়ে সর্বোচ্চ স্থাপত্যর খেতাব পায় এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং (৩৮১ মিটার উঁচু)।
৪) এখন আইফেল টাওয়ারের উচ্চতা বেড়ে হয়েছে প্রায় ১০৬৩ ফুট। প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে স্যেন নদীর পাড়ে শঁ দ্য মার্স পার্কের ওপর অবস্থিত আইফেল টাওয়ার প্যারিস তথা ফ্রান্সের গর্বের প্রতীক।
৫) গোটা টাওয়ারটিকে লম্বালম্বি ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। লোহা দিয়ে নির্মিত এই টাওয়ারের ওপর থেকে প্যারিস শহরের প্যানোরমিক ভিউ দেখা যায়।
৬) ১৮ হাজার লোহার টুকরোকে ২৫ লাখ রিভেটের সঙ্গে যুক্ত করে ধীরে ধীরে রূপ দেওয়া হয়েছে সুউচ্চ আইফেল টাওয়ারে। নীচ থেকে ওপরে টাওয়ারের রঙ বদলে যায়। নীচে ডার্ক ব্রাউন আর একেবারে ওপরে টাওয়ারের মাথায় রঙ হল হালকা ধূসর।
৭) শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, প্রবল গরম বা অতিরিক্ত ঠান্ডা আবহাওয়ায়, তুষারপাত হোক কিংবা বৃষ্টি, ঝড়-ঝঞ্ঝা সহ্য করতে সক্ষম আইফেল টাওয়ার। বেতার ও টিভির সম্প্রচারের জন্য ১৯৫৭, ২০০০ ও ২০২২ সালে টাওয়ারের একেবারে মাথায় অ্যান্টেনা বসানো হয়েছে।
৮) প্রতি বছর গরমে ৬ ইঞ্চি করে উঁচু হয়ে যায় আইফেল টাওয়ার। বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় একে বলে থার্মাল এক্সপানশন। লোহার ধাতু নির্মিত আইফেল টাওয়ার। তাপমাত্রার হেরফেরে হয় এমন ঘটনা। গ্রীষ্মে প্যারিসে প্রবল গরম পড়ে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ চড়ে। লোহা তাপ শুষে নেয়। গোটা স্ট্রাকচারের উচ্চতা বেড়ে যায়। শীতে আবার হয় উল্টো। তাপমাত্রার পারদ নামতেই লোহা তাপ বের করে দেয়। সঙ্কুচিত হয় গোটা আইফেল টাওয়ার।