১) নতুন খ্রিস্টাব্দকে আমরা প্রত্যেকেই স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। মুখে আমরা যতই ইংরেজি বছর বলি না কেন এই গ্রেগরিয়ন ক্যালেন্ডার তৈরির পেছনে ইংরেজদের নয় রয়েছে রোমানদের অবদান। ইউরোপ, আফ্রিকা, উত্তর ও লাতিন আমেরিকা, এশিয়া আর ওশেনিয়া মহাদেশের বহু দেশ এই গ্রেগরিয়ন ক্যালেন্ডার মানে। গ্রেগরিয়ন ক্যালেন্ডার অনুসারে যে নতুন বছর বা খ্রিস্টাব্দ মানা হয় তার প্রথম দিন অর্থাৎ পয়লা জানুয়ারিকে ঘিরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানান সব অদ্ভুত নিয়ম রয়েছে।
২) স্পেন, পর্তুগাল, লাতিন আমেরিকার বহু দেশে ১২টি আঙুর খাওয়ার চল আছে। ইতালিতে রাত ১২টা বাজলেই ১২ চামচ ডাল খাওয়ার চল আছে। ফরাসিরা নতুন বছরকে স্বাগত জানান প্যানকেক বা ক্রেপ খেয়ে। নেদারল্যান্ডসের মানুষ গোলাকার খাবার খায়।
৩) ফিলিপিন্সের মানুষ পয়লা জানুয়ারি পোলকা ডট প্রিন্টের পোশাক পরেন। কমলালেবু, তরমুজ, পোমেলো ফলের মতো গোলাকার ফল খায় যাতে নতুন বছর শুভ ও সমৃদ্ধশালী হয়।
৪) সাদা শান্তি ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রতীক। পয়লা জানুয়ারির রাতে ব্রাজিলে হয় ফেস্তা দে লেমানজা নামের উৎসব। সাদা রঙের পোশাক পরে মধ্যরাতে সবাই ঢেউয়ের ওপর লাফায় সমুদ্র সৈকতে।
৫) নতুন বছরে যাতে প্রচুর বেড়ানো ও ভালো অভিজ্ঞতা হয় তার জন্য মেক্সিকোর মানুষ ঘরের মধ্যে খালি স্যুটকেস নিয়ে ঘোরাঘুরি করে।
৬) সারা বছর জীবন ও বাড়ির থেকে সব নেতিবাচক শক্তিকে দূরে রাখতে কিউবার মানুষ পয়লা জানুয়ারির মধ্যরাতে বাড়ির সদর দরজার সামনে বালতি করে জল ঢালে।
৭) গ্রিসের মানুষ সমৃদ্ধি কামনায় পয়লা জানুয়ারি বাড়ির বাইরে বেদানা ঝুলিয়ে রাখে। আলো নিভিয়ে বাড়ির বাইরে কিছুক্ষণ থাকে। তারপর পরিবারের একেক জন সদস্য একেক করে বাড়িতে ঢোকে।
১০) ইতালি ও স্পেনের মানুষ সুখ, সমৃদ্ধির কামনায় লাল রঙের আন্ডারওয়্যার পরে। ইতালির মানুষ জানলা দিয়ে পুরনো জিনিস বাড়ির বাইরে ফেলে দেয়।