মৎস্যপ্রিয় বাঙালির কাছে মাছের নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। কিন্তু এই পৃথিবীতে এমন অনেক মাছ আছে যা ভয়ঙ্কর তো বটেই তেমনই নিমেষে প্রাণ কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। যেমন, ইলেকট্রিক রে মাছ। এর আরেক নাম হল নাম্বফিশ বা টরপেডো ফিশ। মাছের মাথায় বিশেষ ইলেকট্রিক অর্গান রয়েছে। এর মধ্যে বিশেষ রকমের ইলেকট্রোসাইটের মতো ইলেকট্রিক কোষ থাকে যার থেকে বেরনো বিদ্যুতের শকে শত্রুকে ঘায়েল করতে সক্ষম ইলেকট্রিক রে মাছ।
আফ্রিকার বিভিন্ন নদী ও হ্রদে দেখা যায় টাইগার ফিশ। ধারাল দাঁত থাকে। অত্যন্ত আক্রমণাত্মক প্রকৃতির হয়।
পাফার ফিশ বিপদসংকেত পেলেই নিজেকে ফুলিয়ে নেয় পাফার ফিশ। কিছু প্রজাতির পাফার ফিশে বিষ থাকে। অনেকে এই মাছ খায় কিন্তু ঠিকমতো বিষাক্ত অংশ না বাদ দিলে ও রান্না করলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
প্রশান্ত মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরে দেখা যায় বক্স জেলি ফিশ। একে মেরিন স্ট্রিঙ্গারও বলা হয়। টেন্টাকেলস বা শূঁড়ে বিষ থাকে। এটি বিশ্বের অন্যতম বিষাক্ত প্রাণী বলে চিহ্নিত।
দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন নদীতে দেখা যায় ধারাল দাঁত বিশিষ্ট পিরানহা মাছ। দলবদ্ধ ভাবে থাকে। অত্যন্ত আক্রমণাত্নক। নিমেষে কঙ্কালে পরিণত করতে পারে শত্রুকে।
আমাজন নদীতে ছোট্ট আঁশবিহীন ক্যানডিরু মাছ দেখা যায়। আমাজন অববাহিকায় ব্রাজিল, বলিভিয়া, ইকুয়েডর ও পেরুতে মেলে এই প্রজাতির মাছ। আকারে ছোট্ট হলেও অত্যন্ত ভয়ঙ্কর এই মাছ রক্তচোষা। মানুষের শরীরে পায়ু দিয়ে ঢুকে রক্ত চুষে নেয়। অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু অবধারিত।
বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক মাছ হল মোরে ইল। মেক্সিকো, ব্রাজিলে দেখা যায় এই মাছ। অত্যন্ত শক্তপোক্ত ধারাল দাঁত থাকে।