১) ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত ৭ দফায় হয় লোকসভা নির্বাচন। অবকি বার ৪০০ স্লোগান তুলে ভোটে নেমেও বিরাট ধাক্কা খায় বিজেপি। ৪০০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা পেরোতে ব্যর্থ হয় বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। শরিকদলের হাত ধরে অবশ্য কোনো রকমে ম্যাজিক ফিগার ছোঁয়ে এনডিএ। তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদী। বিরোধী ইন্ডিয়া জোট ভালো ফল করলেও ম্যাজিক সংখ্যা পেরোতে পারেনি। তবে শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা আগেরবারের ৫২ থেকে বেড়ে হয় ৯৯।
২) বছরের শেষ দিকে মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটে উলটপুরাণ হয়। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের রাজ্যে ক্ষমতায় ফেরে বিজেপির নেতৃত্বাধীন মহাযুতী জোট। বিরোধী মহাবিকাশ আঘাড়ি জোট নির্বাচনে দাগ কাটতে ব্যর্থ।
৩) এক দশক পর জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট হয়। ২০১৯ সালে সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের পর এই প্রথম ভোট হয়। ওমর আব্দুল্লাহর নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল কনফারেন্স বিপুল সংখ্যক আসনে জিতে ফের ক্ষমতায় ফিরেছে। ৪২টি আসনে জেতে ওমরের দল। বিজেপি ২৯টি আর মেহবুবা মুফতির দল পিডিপি মাত্র ৩টি আসনে জেতে।
৫) ১৭ সেপ্টেম্বর সবাইকে অবাক করে দিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। নয়া মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন অতিশী।
৬) জানুয়ারিতে জমি কেলেঙ্কারি মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গ্রেফতার করে জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেনকে। তবে এবছরই জামিন পেয়ে মুক্ত হয়ে জেল থেকে বেরিয়ে এসে ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোটে লড়েন আদিবাসী নেতা হেমন্ত সোরেন। তাঁর নেতৃত্বে ভোটে বিজেপিকে পরাস্ত করে জেএমএম। ৩৪টি আসনে জেতে জেএমএম। ফের মুখ্যমন্ত্রী হন হেমন্ত সোরেন।
৭) ২০২৩ সালের মে মাসে মণিপুরে শুরু হয় কুকি-জো আর মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিদাঙ্গা। উত্তর পূর্বের রাজ্যের হিংসা অব্যাহত এবছরও।
৮) নেহরু-গান্ধী পরিবারের সদস্য রাজীব-সনিয়া গান্ধী-কন্যা প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার সংসদীয় রাজনীতিতে অভিষেক হয়। দাদা রাহুলের ছেড়ে যাওয়া কেরালার ওয়েনাড় আসন থেকে লোকসভা উপনির্বাচনে লড়ে জিতে সাংসদ হন প্রিয়ঙ্কা।
৯) ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেরালার ওয়েনাড় আর উত্তর প্রদেশের রায়বরেলি আসন থেকে ভোটে লড়েন রাহুল গান্ধী। মায়ের ছেড়ে যাওয়া রায়বরেলি আসন থেকে লড়েন রাহুল। ২টি আসনেই বিপুল ভোটে জিতে রেকর্ড করেন রাহুল।