১) গোটা ভারতেই রঙের উৎসব দোল বা হোলি বিভিন্ন নামে, বিভিন্ন জায়গায় উদযাপন করা হয়। প্রত্যেক জায়গার নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ফুটে ওঠে রঙের উৎসবের উদযাপনের মাধ্যমে।
২) বাঙালির বড়ো প্রিয় জায়গা শান্তিনিকেতনে দোল উৎসব বসন্ত উৎসব হিসাবে পরিচিত। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা রঙিন পোশাক পরে, নাচ গানের মাধ্যমে বসন্ত উৎসব পালন করেন। শান্তিনিকেতনে বিশেষ নাচগানের মাধ্যমে বসন্ত উৎসব পালনের রীতি গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আমল থেকে চলে আসছে। আধুনিক বাংলায় দোল উৎসবের সূচনা করেন রবীন্দ্রনাথ। ১৯০৭ সালে প্রথম বার তাঁর ছোট ছেলে শমীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঋতুরঙ্গ উৎসব শুরু করেন শান্তিনিকেতনে।
৩) শান্তিনিকেতনের মতোই শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান ব্রজভূমি মথুরা ও শৈশবের স্থান বৃন্দাবনের হোলি উদযাপন বিশেষ ভাবে পরিচিত। একদিন নয় টানা ৪০ দিন ধরে চলে রঙের উৎসব পালন। মথুরায় লাড্ডু ছোড়াছুড়ি করা হয়। কোথাও আবার ফুলের পাপড়ি ছুড়ে খেলা হয়।
৬) শিখদের পবিত্র ধর্মীয় স্থান পঞ্জাবের আনন্দপুর সাহিবে ৩ দিন ধরে হোলা মহল্লা হয়। মার্শাল আর্ট, ঘোড়দৌড়, কবিতাপাঠের আসর বসে।
৮) দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে শ্রীকৃষ্ণ নয় কাম দেবতার পুজো করা হয়। হোলি পরিচিত কামবিলাস, কামন পণ্ডিগাই ও কামদহনম নামে।
৯) মহারাষ্ট্র ও গোয়ার কোঙ্কন উপকূলে হোলির স্থানীয় নাম শিগমো। কোঙ্কলের দক্ষিণ উপকূলে কেরালায় গোসিপুরম থিরুমা কোঙ্কনি মন্দিরে শুধু মন্দিরে ছোঁয়ানো হলুদ রঙ দিয়ে খেলা হয় হোলি। স্থানীয় বাসিন্দারা ডাকেন উক্কুলি নামে। মালয়লাম ভাষায় নাম মঞ্জুলকুলি। অর্থ হলুদ স্নান।