১) নেভাডার ফ্লাই গিজার। মানুষের তৈরি এই জিওথার্মাল গিজার দুর্ঘটনাবশত তৈরি হয়। ভূগর্ভস্থ জলের খোঁজে বারবার এই জায়গা খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়। খনিজ পদার্থের কারণে ফ্লাই গিজার তৈরি হয়। খনিজ পদার্থের পাশাপাশি থার্মোফিলিক শ্যাওলার প্রভাবে লাল ও সবুজ রঙ দেখা যায় মাটিতে।
২) আমেরিকার ইয়েলোস্টোনর সর্ববৃহৎ উষ্ণ প্রসবন গ্র্যান্ড প্রিজম্যাটিক স্প্রিংয়ের ব্যাস ২০০-৩৩০ ফুট আর গভীরতা ১২১ ফুটের বেশি। তাপমাত্রার হেরফের, গরম জল আর থার্মোফিলিক শ্যাওলা আর ব্যাক্টেরিয়ার প্রভাবে উজ্জ্বল নীল রঙের প্রাবল্য দেখা যায়।
৩) পেরুতে রয়েছে সাতরঙা রেনবো পাহাড়। এর অপর নাম ভিনিকুনকা। ২০১৫ সালে বরফের চাদর গলে যাওয়ার পরই রেনবো পাহাড়ের আসল রূপ দেখা যায়।
৪) আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার উত্তর প্রান্তে ৩টি আলাদা আলাদা টেকটোনিক প্লেটের নড়াচড়া করার ফলে তৈরি হয়েছে দানাকিল ডিপ্রেশন। উষ্ণ প্রসবন, আগ্নেয়গিরি, গিজার, হ্রদ, জলাশয় তৈরি হয়েছে। তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।
৫) শ্যাওলা, হ্যালোব্যাক্টেরিয়া ও মাইক্রোবের প্রভাবে অস্ট্রেলিয়ার হিলার হ্রদের জলের রঙ গোলাপি। ডেড সি'র মতোই নোনতা ভাব এই হ্রদের জলের।
৭) মরিসাসে ভারত মহাসাগরের ওপর মাদাগাস্কার দ্বীপ থেকে পূর্ব প্রান্তে রয়েছে ডুবন্ত জলপ্রপাত। মহাসাগরীয় শেলফ নেমে যাওয়ার কারণে সৃষ্টি হয়েছে ডুবন্ত জলপ্রপাত।
৮) বলিভিয়ার সালার দ্য ইউয়ুনের ধূধূ প্রান্তরে দেখা যায় নুন শুকনো করা হচ্ছে। রয়েছে লিথিয়াম খনি।
৯) রিপাবলিক অফ ইয়েমেনে রয়েছে সক্রোটা দ্বীপ। রহস্যময় দ্বীপকে বলা হয় এলিয়ান দ্বীপ। পশ্চিম ভারত মহাসাগরের ওপর হর্ন অফ আফ্রিকার কাছে প্রত্যন্ত দ্বীপপুঞ্জ হল সক্রোটা। ৪টি দ্বীপ রয়েছে, বৃহত্তম সক্রোটা। ২০০৮ সালে অদ্ভুত জীববৈচিত্র্যর জন্য সক্রোটা দ্বীপপুঞ্জ ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি পেয়েছে। সক্রোটায় ৮২৫ রকম প্রজাতির উদ্ভিদ দেখা যায়। এরমধ্যে ৩৭% প্রজাতির গাছপালা আর কোথাও দেখা যায় না। ড্রাগনস ব্লাড ট্রি, বটল ট্রি'র মতো বিরল প্রজাতির গাছপালা দেখা যায়। এই এলিয়ান দ্বীপে ১৯২ রকমের পাখি, ২৫৩ রকমের প্রবাল প্রাচীর, ৭৩০ রকমের সামুদ্রিক মাছ, ৩০০ রকমের কাঁকড়া, গলদা চিংড়ি, ও অন্য প্রজাতির চিংড়ি মাছের দেখা মেলে।