চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: জেপ্টো কোম্পানির সিইও আদিত পলিচা সম্প্রতি এক্স (পূর্বের টুইটার) এ “ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স” নিয়ে একটি পোস্ট করেছেন, যা নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মনে করছেন, এটি রেডিটে ভাইরাল হওয়া একটি পোস্টের জবাব। সেই পোস্টে জেপ্টো-র কাজের পরিবেশকে ‘টক্সিক’ বলে অভিযোগ করা হয়েছিল।
1) Zepto is fkn app not some world changing technology
2) WLB no issue if employees also have skin in the game (ESOP)
3) Indian builders should stop this cringe-fest of delusions of grandeur, work on hardware rather.Aadit’s tweet is response to this Reddit post btw. https://t.co/bNgivY6pEQ pic.twitter.com/FzCPjldK37
— Shark (@fintech_shark) December 4, 2024
একজন নাম প্রকাশ না করা ব্যবহারকারী r/StartUpIndia পেজে “টক্সিক ওয়ার্ক কালচার ft. জেপ্টো” শিরোনামে পোস্টটি শেয়ার করেন। ওই পোস্টে তিনি দাবি করেন, তিনি এক বছর ধরে জেপ্টোতে কাজ করছেন এবং এখানে অত্যন্ত বিষাক্ত কাজের পরিবেশ রয়েছে।
অভিযোগ করা হয়েছে যে আদিত পলিচা দুপুর ২টায় কাজ শুরু করেন এবং রাত ২টায় মিটিং করেন। মিটিং সবসময় দেরিতে শুরু হয়, এবং সময়মতো কোনো কাজ হয় না। সিনিয়র কর্মীরা এই ধরনের কাজের পরিবেশে কাজ করতে না চাওয়ায়, জুনিয়র কর্মীদের নিয়োগ করা হয়। এতে তাদের কম বেতন দিতে সুবিধা হয়। এছাড়াও, কর্মীদের দিনে কমপক্ষে ১৪ ঘণ্টা কাজ করানো হয়।
পোস্টে আরও দাবি করা হয়েছে যে, জেপ্টো ৩০ হাজার টাকার বেশি দামের ফোন ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়। কর্মী ছাঁটাই ও নতুন কর্মী নিয়োগ বন্ধের কথাও বলা হয়েছে।
পোস্টে উল্লেখ করা হয় যে, কোম্পানির বেশিরভাগ কর্মী ২ বছরের মধ্যে আসতে পারে এমন আইপিও-র আশায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, যাতে তারা লাভবান হতে পারেন।
পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার পর আদিত পলিচা এক্স-এ লেখেন, “আমি ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স নিয়ে কোনো আপত্তি করি না। আমি আমার প্রতিদ্বন্দ্বীদেরও এটি গ্রহণের পরামর্শ দিই।”
এই মন্তব্যের পর প্ল্যাটফর্মটিতে নতুন এক বিতর্কের সূত্রপাত হয়। অনেকেই জেপ্টো-র কাজের পরিবেশ নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা ও মতামত শেয়ার করছেন। যদিও জেপ্টো কোম্পানি বা আদিত পলিচার পক্ষ থেকে এখনো এই বিষয়ে কোনো বিস্তারিত বিবৃতি পাওয়া যায়নি।