Bengal Jago Desk: বিশ্বকর্মা পূজা মানে ঘুড়ি ওড়ানো, আকাশে নানান রঙেরে ঘুড়ির মেলা,সাথে ভোকাট্টা আওয়াজ মেতে ওঠা।কথিত আছে, বিশ্বকর্মা হলেন স্বর্গলোকের সর্বশ্রেষ্ঠ স্থপতি ও ভাস্কর। তাই সাধারন মানুষদের বিশ্বাস বিশ্বকর্মা উন্নত ভবিষ্যৎ, নিরাপদ কাজের পরিস্থিতি এবং নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সর্বোপরি নিজ নিজ ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করে, বিভিন্ন যান্ত্রিক পেশাদার মানুষজন এদিন বিশ্বকর্মার পুজো করে ।ভাদ্র মাসের সংক্রান্তি তিথিকে ‘কন্যা সংক্রান্তি’ বলা হয়। পুরাণ মতে এই তিথিতেই বিশ্বকর্মার জন্ম হয়। হিন্দু পুরাণ, বেদ, রামায়ণ ও মহাভারতে বিশ্বকর্মার মাহাত্ম্যএর বর্ণনা রয়েছে। হিন্দুধর্মে, বিশ্বকর্মাকে সমস্ত নির্মাণ শিল্পের দেবতা হিসেবে বলা হয়। কারিগরি ও নির্মাণ শিল্পের পুরোধা বলা যেতে পারে।
ভাদ্র মাসের সংক্রান্তির দিন সারা ভারতে বিশ্বকর্মার আরাধনা করা হয়। এই বিশ্বাকর্মা আসলে কে? পুরাণ মতে বলা হয়, ব্রহ্মার নাভিমূল থেকে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বকর্মা। দেবকূলের এই গুরুত্বপূর্ণ দেবতার চারটি হাত, এক হাতে দাঁড়িপাল্লা, অন্যহাতে থাকে হাতুড়ি। ধর্ম মতে, দাড়িপাল্লা হল জ্ঞান ও কর্মের প্রতীক, অন্যদিকে, হাতুড়ি হল শিল্পনির্মাণের প্রতীক। এছাড়া বিশ্বকর্মার বাহন হল হাতি। পঞ্চাঙ্গ মতে, সাধারণত প্রতি বছর ১৭ সেপ্টম্বর বিশ্বকর্মার পুজো করা হয়ে থাকে। প্রতি বছর একই দিন এই বিশেষ পুজো করা হয়। এখনও পর্যন্ত তারিখের কোনও হেরফের হয়নি। বদলও করা হয় না। তবে এবছর বিশ্বকর্মা পুজো হবে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরে।
কারন হিন্দু ধর্মে সব দেব -দেবীর পুজোর তিথি স্থির হয় চন্দ্রের গতি প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে।শুধুমাত্র বিশ্বকর্মা পুজোর তিথি স্থির করা হয়, সূর্যের গতি প্রকৃতির উপর নির্ভর করে।পুরাণ মতে ব্রহ্মাপুত্র বিশ্বকর্মা, গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নকশা তৈরি করেছিলেন। মনে করা হয়, তিনি প্রথম পৃথিবীর ইঞ্জিনিয়ার। দেবতা কৃষ্ণের রাজধানী পবিত্র দ্বারকা শহরটি নির্মাণ করেছিলেন বিশ্বকর্মা। পুরীর বিখ্যাত জগন্নাথমূর্তিও তিনিই নির্মাণ করেন।দুর্গা পূজার সঙ্গে যেন জড়িয়ে আছে এই দেবতার আরাধনা। কারণ, ভাদ্রের সংক্রান্তি হল বিশ্বকর্মা পূজার নির্দিষ্ট তিথি। শরত ঋতুর আগমনে দেবী পূজার জন্য সকল মানুষের মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে।