চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: ১) বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বাঙালি মেতে ওঠে রঙবেরঙের নানান রকমের ঘুড়ি ওড়ানোয়। ভোকাট্টা শব্দে মুখরিত হয় চারিদিক (Kite History)।

[আরও পড়ুন: নিম্নচাপে ষষ্ঠী থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, সতর্কতা জারি!]
২) আট থেকে আশি সকলের নজর থাকে আকাশে উড়তে থাকা পেটকাটি, চাঁদিয়াল, বগ্গা, মোমবাতি নামে আকাশে উড়তে থাকা নানান রকম ঘুড়ির দিকে।

৩) ঘুড়ি ওড়ানোর ইতিহাস কিন্তু খুব প্রাচীন। মোগল সম্রাটদের অবসরযাপনের অংশ ছিল নানান রকম রঙিন ঘুড়ি ওড়ানোয়(Kite History)।

৪) সাধারণত বাঙালিরা বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ঘুড়ি ওড়ানোয় মেতে ওঠে। কিন্তু গুজরাতে মকর সংক্রান্তির দিন উত্তরায়ণ উৎসবের দিন সব বয়সের মানুষ মেতে ওঠে ঘুড়ি ওড়ানোয়। সবাই ঘর ছেড়ে ছাদে উঠে আসে ঘুড়ি ওড়াতে। সে জন্য উত্তরায়ণের আগের দিনই প্রত্যেকে নিজের ছাদ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখেন। সকাল থেকে শুরু হয় ঘুড়ির লড়াই। রঙবেরঙের নানা আকারের ঘুড়িতে ছয়লাপ হয়ে যায় আকাশ। আকাশে ওড়ে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য পূর্ণ ঘুড়িও। ঘুড়ির গায়ে থাকে কোনো পৌরাণিক কাহিনি, ঐতিহাসিক ঘটনা বা বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের মুখ (Kite History)। এসময় গুজরাতে হয় ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতাও। উত্তরায়ণ উৎসব উপলক্ষে গুজরাতে স্কুল, কলেজ, অফিস কাছারি বন্ধ থাকে।

৫) ভারতের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ঘুড়ি ওড়ানো জনপ্রিয়। বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো টেডি বিয়ারের আকারের ঘুড়ি হল ‘অস্কার’। ৬৩ ফুট লম্বা এই ঘুড়িকে একাধিক বার বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ওড়ানো হয়েছে।
৬) ‘দ্য হোপ’ নামে কুয়েতের ঘুড়ি পেয়েছে সবচেয়ে বড়ো ঘুড়ির তকমা। এর মালিক হলেন আব্দুল রহমান আল ফারসি। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, কাগজ আবিষ্কারের অনেক আগে থেকেই মানুষ ঘুড়ি ওড়ানো জানত। পাখি তাড়াতে, মাছ ধরতে এমনকি চিঠি পাঠাতে ঘুড়ি ব্যবহার করা হত।

৭) ১৭৯২ সালে বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন বিদ্যুতের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে ঘুড়ির ব্যবহার করেন। ঝড়ের সময় বজ্রপাতকে বিদ্যুতের আরেক রূপ বোঝাতে তিনি ঘুড়ি ব্যবহার করেন।

৭) ১৯০১ সালে ট্রান্সঅ্যাটলান্টিক মেসেজ পেতে বিজ্ঞানী ম্যারকনি ঘুড়ির সাহায্যে আকাশে অ্যান্টেনা ওড়ান (Kite History)।

৮) ১৭৬০ সালে লোক কাজ ফেলে বেশি ঘুড়ি ওড়ানোয় জাপানে নিষিদ্ধ হয় ঘুড়ি ওড়ানো। চিনেও সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় ঘুড়ি ওড়ানো নিষিদ্ধ ছিল। তাইল্যান্ডে ঘুড়ি ওড়ানোর ৭৮ রকমের নিয়ম আছে।