চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: শেফ সঞ্জীব কাপুর একবার জানিয়েছেন, স্বর্ণের ব্যবহার শুধু গহনা বা ঐতিহ্যবাহী জিনিসপত্রে সীমাবদ্ধ নয়, বরং খাদ্যসংস্কৃতিতেও তার গুরুত্ব বাড়াচ্ছে (Edible Gold)। খাদ্য উপযোগী স্বর্ণপাত এবং ফ্লেকসকে বিশেষ অনুষ্ঠান বা উৎসবমুখর খাবারে সৌন্দর্য এবং অভিজাত্য বৃদ্ধি করার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। শেফের কথায়, স্বর্ণের এই ব্যবহার রান্নার শিল্পকে একটি নতুন মাত্রা দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: স্বামীজির চিতার আগুন আজও জ্বলছে! ভক্তদের অদ্ভুত বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিকতার মেলবন্ধন এই আশ্রম]
খাদ্য উপযোগী স্বর্ণ (Edible Gold) হল খাঁটি স্বর্ণ, যা পরিশোধিত হয়ে পাতলা শীট বা সূক্ষ্ম ফ্লেক আকারে রান্নার জন্য প্রস্তুত করা হয়। সাধারণত এটি ২২ থেকে ২৪ ক্যারেটের হয় এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য কোড E 175 অনুযায়ী নিরাপদ। এ ধরনের স্বর্ণ কোন রকম গন্ধ বা স্বাদ রাখে না এবং এটি খাবারের স্বাদ পরিবর্তনের জন্য নয়, বরং খাবারের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়।
রান্না এবং মিষ্টির ওপর স্বর্ণপাত বা ফ্লেক ব্যবহার করে খাবারকে উৎসবমুখর এবং অভিজাত করে তোলা হয়। এটি বিশেষভাবে মিষ্টি, চকোলেট, ককটেল বা গুরমে ডিশের সাজসজ্জায় ব্যবহৃত হয়। শুধু সৌন্দর্য নয়, স্বর্ণের ব্যবহার ভারতীয় সংস্কৃতিতে সাংস্কৃতিক প্রতীকও বহন করে। ভারতীয় ঐতিহ্যে স্বর্ণ ধন, পবিত্রতা ও সমৃদ্ধির প্রতীক। তাই উৎসব, বিয়ে বা অন্যান্য শুভ অনুষ্ঠানকালে খাবারে স্বর্ণ ব্যবহার করা হয় সৌভাগ্য এবং আশীর্বাদের প্রতীক হিসেবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্য উপযোগী স্বর্ণ জীববৈজ্ঞানিকভাবে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। এটি শরীরে শোষিত হয় না এবং হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিরাপদে বাইরে চলে যায়। যদিও এটি কোন পুষ্টি বা স্বাস্থ্যগত উপকারিতা প্রদান করে না, তবুও খাবারের আভিজাত্য, সৌন্দর্য এবং উপস্থাপনা বাড়ানোর ক্ষেত্রে এর ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। স্বর্ণের এই ব্যবহার প্রাচীন ঐতিহ্য এবং আধুনিক কল্পনাশক্তিকে একত্রিত করে খাদ্য শিল্পকে নতুন দিগন্তে পৌঁছে দিয়েছে (Edible Gold)।