প্রতীকী চিত্র
Bangla Jago Desk: ভাঙা হৃদয়ের কথা শুনলে অনেকেই ভাবেন এটি হয়তো শুধু আবেগের বিষয়। তবে, বাস্তব জীবনে ভাঙা হৃদয় শারীরিকভাবে হৃদযন্ত্রে সমস্যার কারণ হতে পারে। Heart.org অনুযায়ী, নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি এই সমস্যায় আক্রান্ত হন। এটি সাধারণত কোনো তীব্র মানসিক বা শারীরিক চাপের কারণে ঘটে, যেমন প্রিয়জনের মৃত্যু, সম্পর্কের বিচ্ছেদ, বিশ্বাসঘাতকতা, বা রোমান্টিক প্রত্যাখ্যান। এমনকি কোনো আনন্দের চমক, যেমন লটারিতে জেতাও এই সমস্যার কারণ হতে পারে।
ব্রোকেন হার্ট সিন্ড্রোম কী?
ভাঙা হৃদয় সিন্ড্রোম, যা টাকোৎসুবো কার্ডিওমায়োপ্যাথি নামে পরিচিত, একটি সাময়িক হৃদরোগ। এটি হার্ট অ্যাটাকের মতো লক্ষণ সৃষ্টি করে, যেমন বুকের ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট। তবে, হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে এর মূল পার্থক্য হলো, এতে হৃদযন্ত্রের ধমনী বন্ধ হয় না।
লক্ষণসমূহ:
ডা. যুগল কিশোর মিশ্র (চেয়ারম্যান, মণিপাল ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিয়াক সায়েন্সেস) জানিয়েছেন, ভাঙা হৃদয় সিন্ড্রোমের প্রধান লক্ষণগুলো হলো:
চিকিৎসা কীভাবে হয়?
এই অবস্থার চিকিৎসার প্রধান লক্ষ্য হলো লক্ষণগুলো উপশম করা এবং মানসিক বা শারীরিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা। ডা. মিশ্র বলেন, নিয়মিত ইসিজি এবং হার্টের অবস্থার পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সময়মতো চিকিৎসা এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামের মাধ্যমে বেশিরভাগ রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ:
যদি কোনো চাপপূর্ণ ঘটনার পর বুকের ব্যথা বা শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ দেখা দেয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা জটিলতা এড়াতে সাহায্য করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দেন, হৃদয়ের যত্ন নেওয়া শুধু শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের দিক থেকেও সমান গুরুত্বপূর্ণ।