ad
ad

Breaking News

BJP

ভোটের বিজ্ঞাপনে বিজেপির রেকর্ড ব্যয় বিরোধীদের প্রশ্ন, এত টাকা আসছে কোথা থেকে ?

শুধু গুগল এবং ইউটিউবে বিজেপি  ১০০ কোটি টাকার বেশি বিজ্ঞাপন দিয়েছে

The question of BJP's record spending on election advertisement, where is this money coming from?

Bangla Jago Desk : ভোটের প্রচারে বিজেপির চমকের শেষ নেই। চদ্দোয় তাঁদের আচ্ছে দিন বা সবকা সাথ সবকা বিকাশের স্লোগান জনমনে ছড়িয়ে দিতে গেরুয়া প্রচার তুঙ্গে ওঠে। কেউ কেউ বলেন, গণতন্ত্রের লড়াইয়ে ধনতন্ত্রের জয়জয়কার হয়৷ ‘ভোট করাতে’ বিজেপি টাকার খেলা করে বলে বিরোধী শিবির বারবার সরব হয়। মাসল পাওয়ারের মতো মানি পাওয়ার ব্যবহার করে গণতন্ত্রের আত্মাকে কলুষিত করে বলেও অভিযোগ ওঠে। টাকার খেলার প্রমাণ দিতে বিরোধীদের হাতিয়ার ২০১৯-এর বিজেপির নির্বাচনী ব্যয়। এক সমীক্ষায় জানা যায়, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি খরচ করে  প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা৷ প্রশ্ন উঠছে এবার কী সেই খরচের বহর আরও বাড়তে চলেছে,কারণ তথ্য বলছে,শুধু গুগল এবং ইউটিউবে বিজেপি  ১০০ কোটি টাকার বেশি বিজ্ঞাপন দিয়েছে  ।   এই প্রথম কোনও   দল এত বিপুল টাকা স্রেফ রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে খরচ করেছে  ।

বিজ্ঞাপনের ‘ট্রান্সরারেন্সি রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে গুগল।  একা বিজেপি খরচ করেছে কেবল ১০১ কোটি টাকারও বেশি। কিভাবে এই বিপুল টাকা খরচ হয়েছে,কী তার ব্রেক আপ ? পরিসংখ্যান বলছে,২০২৪-এর জানুয়ারি থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত  ৮০হাজারের বেশি  অনলাইন বিজ্ঞাপনের জন্য বিজেপি প্রায় ৪০কোটি টাকা ব্যয় করেছে। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, উড়িষ্যা, মহারাষ্ট্র, রাজস্থানের জন্য বিজেপির তরফে ২কোটি টাকা করে খরচ করা হয়েছে।শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপুল খরচ করাই নয়,  চব্বিশে ক্ষমতায় আসার জন্য অন্যান্য মিডিয়াতেও গেরুয়া শিবির কোটি কোটি টাকা খরচ করছে।বিরোধীদের তাই কটাক্ষ,কথার ফুলঝুরি বা জুমলাবাজের স্বপ্ন ফেরি করতে দেদার খরচ হচ্ছে। কোথাও কোথাও অবিজেপি দলগুলোর তোপ,ফেকভিডিয়ো আর মিথ্যা খবর ছাপিয়ে জনতার মন জয়ের আপ্রাণ চেষ্টা চলছে।

বিরোধীদের প্রশ্ন,ক্ষমতায় থাকার দৌলতে অগাধ অর্থ হাতে পেয়েই কী এই প্রচারের ফানুশ ওড়ানো হচ্ছে ? সেজন্য বিরোধী শিবিরের মতোই গণতান্ত্রিক সংস্থাগুলো দাবি করছে,নোট বাতিলের  নামে একদিকে যেমন বিজেপি অর্থভাণ্ডার ভরিয়েছে,তেমনই আবার ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে তাঁদের ঘরে ঢুকেছে যত ইচ্ছে অর্থ।শিল্প সংস্থাগুলোকে পাইয়ে দেওয়ার কৌশল হিসেবে এই লেনদেন চলে।ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, নির্বাচনী বন্ড থেকে বিজেপির ঝুলিতে যে ৬৯৮৬.৫ কোটি টাকা গিয়েছে তার হিসেব কোথায়। উল্লেখ্য, রাজনৈতিক চাঁদা দেওয়ার জন্য  ২০১৮ সালে চালু করা হয় ইলেকটোরাল বন্ড। তার পর থেকে ওই বিপুল টাকা পার্টি ফান্ডের জন্য তোলে বিজেপি।তাই প্রচার সর্বস্ব রাজনীতির পিছনে এই অর্থের লেনদেন নিয়ে প্রশ্ন যে গেরুয়া শিবির এড়াতে পারছে না তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।